সোমবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মনজয়পাড়ার পাহাড় ধসের ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হলেন- সুলতান আহম্মদের ছেলে শ্রমিক আবু আহম্মদ (৩০), মো. শাহাজাহানের ছেলে মো. জসিম (২৫) ও নারী শ্রমিক সোনা মেহের (৩৫)।
উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবিসহ স্থানীয়রা দুপুর থেকে উদ্ধার অভিযানে নামে। বিকেলে এক্সাবেটর দ্বারা মাটি সরিয়ে মাটির নিচ থেকে নুরুল হাকিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারী শ্রমিকসহ মাটিচাপা পড়া তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারওয়ার কামাল বাংলানিউজকে জানান, মাটিচাপা পড়ার প্রায় সাত ঘণ্টা পর অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শ্রমিক নুরুল হাকিমকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলার রামু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনের মরদেহ কক্সবাজার হাসপাতালের নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মুফিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, হতাহতদের তালিকা তৈরীর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
**নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে নারীসহ ৫ জনের ‘প্রাণহানি’
**পাহাড় ধসে চাপা পড়া চারজনের মধ্যে একজন জীবিত উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এনটি