বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের ল্যানক্যাস্টার হাউজে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের প্রথম এক্সিকিউটিভ সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
সদস্য দেশগুলোর পরিবর্তনশীল চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে কমনওয়েলথের বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকা ও কার্যক্রম পুর্ননির্ধারণ ও পুনর্গঠন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে নির্ধারিত অর্জনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আমূল পরিবর্তন এবং পূনরুজ্জীবনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
কমনওয়েলথের বিভিন্ন উদ্যোগ বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিবের ঘোষিত ২০২০-২০২১ কৌশলগত পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডারও প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ ঘোষণায় কানেক্টিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি, গভর্নেন্স বিষয়ে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের উচিত একটা প্রায়োগিক অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা।
আরও পড়ুন>>
** রোহিঙ্গা ইস্যুতে কমনওয়েলথে শেখ হাসিনার প্রশংসা
নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের ভূমিকা স্পর্শকাতার বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ইস্যু সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝে সে অনুযায়ী এবং কমনওয়েলথের ঐক্যের চেতনাকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
‘গণতন্ত্র ও সুশাসন, আইনের শাসনই লক্ষ্য থাকতে হবে। কেননা এগুলো হচ্ছে- টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। ’
তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সহায়তা ও সম্পৃক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য, অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়নের দিকে কমনওয়েলথ মনোযোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এমইউএম/এমএ