ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রমজানে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
রমজানে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতবিনিময় সভা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।

রোববার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মিলনায়তননে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে যেন নির্বিঘ্নে পণ্য আনা-নেওয়া ও সরবরাহ করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহন সেবায় চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাউকেই সন্ত্রাসী করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু কেউ চাঁদাবাজি করতে আসলে আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।

এসময় ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করে বলেন, রমজানের সময় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পণ্য আনা-নেওয়া কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ওপর প্রভাব পড়ে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় পণ্যের আনা-নেওয়া কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালকের কাছে লাইন্সেন, রোড পারমিট থাকে না এবং তারা অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে গাড়ি চালান। সে ক্ষেত্রে রাস্তা ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামিয়ে চেক করেন। চালকদের যদি এসব ঠিক থাকতো তাহলে তো গাড়ি থামানোর কোনো প্রয়োজন হত না এবং চাঁদাবাজিরও হতো না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় পরিবহনে মাদকপাচারের তথ্য থাকে। তাই গাড়ি থামিয়ে চেক করা হয়। কয়েকজন চাঁদাবাজ পুলিশ যে নেই তেমন নয়। তবে পুলিশ রক্ত দিয়েও কিন্তু আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

এ সময় ভেজাল খাবারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খাবারে ভেজাল কিন্তু পুলিশ বা সরকারি কর্মচারীরা দেন না। খাবারে ভেজাল আপনারা (ব্যবসায়ীরা) দেন।  কিন্তু ভেজাল খাবার বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের আটকের পর এমন এমন জায়গা থেকে তদবির আসে তা বলা মুশকিল। তাই আমি আপনাদের বলবো নিজেরা ঠিক হন।

এর আগে মতবিনিময় সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমান।

এছাড়া মতবিনিময় ডিসিসিআই'র সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান ও ডিসিসিআই'র সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা  এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমএসি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।