ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট

বিশেষ সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশি পাসপোর্ট

ঢাকা: চলতি বছরের জুলাই মাসেই বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। জার্মানির একটি কোম্পানির সঙ্গে এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই পরিষেবা চালু হলে বাংলাদেশ ঢুকবে নতুন যুগে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ পাসপোর্টের একটি ‘চিপ’ সহজ করে দেবে বিশ্বভ্রমণ।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের নমুনা কপি (Specimen copy) এরইমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। যেটি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট চালু রয়েছে বিশ্বের ১১৮টি দেশে। ১১৯ নম্বর দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের যুগে ঢুকে পড়া এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। নিরাপত্তা চিহ্ন হিসেবে ই-পাসপোর্টে থাকবে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপ। আর এর পাতায় থাকা চিপসে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ফলে কঠিন হবে পরিচয় গোপন করা।

এখন দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মালিক। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছে। সময়মতো পাসপোর্ট দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পাসপোর্ট অফিসগুলো। ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হওয়ার সময় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছিল সেগুলো দিয়েই এখনো কাজ চলছে। এসব যন্ত্রের অধিকাংশ বিকল। এক যন্ত্রের পার্টস অন্য যন্ত্রে বসিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে কাজ।

ই-পাসপোর্টে এভাবে বসবে চিপসূত্র জানায়, ২০১৬ সালে এমআরপির পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একই সময় পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে দিন থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে সেদিন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করতে গেলে ই-পাসপোর্ট করতে হবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডাসহ ১১৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু আছে। বর্তমানে সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট করতে যথাক্রমে তিন হাজার ও ছয় হাজার টাকা ফি দিতে হয়। মেয়াদ পাঁচ বছর।  

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী।

জানা যায়, জার্মানির প্রযুক্তি নিয়ে জিটুজির মাধ্যমে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করা হবে। এরই মধ্যে একটি চুক্তিও সই হয়েছে। ই-পাসপোর্ট শুরু হলে সেবার মান আরো বাড়বে। এতে জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। এর জন্য উড়োজাহাজ, স্থল ও নৌবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পেরিয়ে যাওয়া ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তি লাইনে না দাঁড়িয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন। এতে সময় ও ভোগান্তি কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।