বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে এ ফাটল দেখা দেয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ক্রমান্বয়ে ফাটল বড় আকার ধারণ করছে।
হুমকির মুখে পড়া পরিবারের সদস্য দীপক দে বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে বাঁধের সিসি ব্লকগুলো ফাঁক হতে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে বড় আকারের ফাটল সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক স্থানে এ ফাটল দেখা দিয়ে আস্তে আস্তে দীর্ঘ হচ্ছে।
২০১৬ সালে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এলাকার ১২টি বসত ঘর ভেঙে পেছনে নিয়ে আসে। এরপর বাঁধের সংস্কার কাজ করে। কিন্তু সংস্কার কাজের ৯ মাসের মধ্যেই আবার ফাটল দেখা দিলো।
আরেক বাসিন্দা কমল বলেন, ৫০ ফুট পশ্চিমে আমার ঘর ছিলো। ঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে গেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মান সম্মত কাজ না করায় পুনরায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রায় ৩৫ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে ফাটল রোধ করা হবে। নদীতে তীব্র স্রোত আর ঢেউয়ের কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
আরবি/