বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক জরুরি সভায় এই নির্দেশনা দেন তিনি।
উপজেলা পরিষদ কৃষি হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন এবং জরুরিভাবে প্রশাসনকে বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন।
একই সঙ্গে আত্রাই নদীতে পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টিকারী অবৈধ সৌতি জালসহ ছোট-বড় সব ধরনের জাল ও স্থাপনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্রাই নদীতে অসংখ্য অবৈধ সৌতি জাল বসানোর কারণে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে, পানি দ্রুত নামতে না পারায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।
কিছু লোকের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে চলনবিলের পাঁচ লাখ মানুষের ক্ষতি করা যাবে না। যে কোনো মূল্যে এসব বাঁধা অপসারণ করতে হবে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান, সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এমরান অালী, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উজানের পানিতে তিনদিন ধরে সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে। বর্তমানে এ নদীতে বিপদসীমার ০.৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে উপজেলার উত্তর দমদমা, ফেরিঘাট এলাকা, কলম, বিলদহর, কালিনগরসহ আত্রাই নদীর তীরবর্তী অধিকাংশ এলাকায় ঢুকেছে। কোনো কোনো বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিংড়া ব্রিজ থেকে বিলদহর পর্যন্ত ছোট-বড় অন্তত ২৬টি সৌতি জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন। এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসআই/