ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পছন্দ করেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পছন্দ করেন

সংসদ ভবন থেকে: দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন বলে মন্তব্য করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্ন‍ান।

সোমবার (১২ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।  

আব্দুল মান্নান বলেন, সম্প্রতি এক জরিপে প্রধানমন্ত্রীকে পছন্দের বিষয়টি উঠে আসে।


 
আব্দুল মান্নান বলেন, রোজার মাসে ইফতার পার্টিতে দোয়া-দরুদ হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইফতার পার্টিতে আত্মশুদ্ধির জন্য আমরা দোয়া করি। আর একটি দলের প্রধান ইফতার পার্টির নাম করে এটাকে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিদিনই যে ধরণের অশালীন কথাবার্তা বলছেন আমার কাছে খুব আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত পরশু বলেছেন দেশে শেখ হাসিনা মার্কা নির্বাচন হবে না, তাহলে কি দেশে খালেদা জিয়া মার্কা হবে? আসলে মার্কাতো আওয়ামী লীগের নৌকা। আর অন্য দলের যার যার মার্কা আছে। আর নির্বাচনে ওই দলগুলো অংশ নেবে তাদের মার্কা নিয়ে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। আজকে যদি উনি (খালেদা জিয়া) মনে করেন ২০০১ সালের লতিফুর রহমানের মতো একটা সরকার হবে। তার ভাষায় নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। সেটা সম্ভব না। সংবিধানে নির্বাচন সহায়ক সরকার বলতে কোনো কথা নেই। এই দেশে সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন স্বল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। নীতি নির্ধারণী কর্মকাণ্ডে তিনি অংশ নেবেন না, এটাই হলো বাস্তব কথা।
 
আব্দুল মান্নান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় কি না, আমার সন্দেহ আছে। আর দেড় বছর পর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়াতো আসবেই। আগামী নির্বাচনে অবশ্যই বিএনপি অংশ নেবে। নির্বাচনে হারলে যে বিরোধীতা করতে হবে তার একটা প্লাটফর্ম তৈরিতে বিভিন্ন কথা বলছেন।
 
নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সাক্ষাত করেছেন। সেখানে তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে এক করেছেন। তার সেই আলোচনায় আমাদের সিইসি একমত পোষাণ করেছেন যা দুর্ভাগ্যজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা করি।
 
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এক নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। তখন নির্বাচনটি যে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো, ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সেই অবস্থায় হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে এই দেশে কি হতো। তাহলে অসাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা কায়েম হতো। তাতে খালেদা জিয়ার লাভটা কি হতো? লাভ একটাই হতো ওই সরকারের উচ্ছিষ্ট ভোগী হিসেবে ওখান থেকে পাওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হতো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নাকি একটা গোপন জরিপে দেখছেন আওয়ামী লীগের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের নাকি দেশ ছেড়ে যেতে হবে।
 
আব্দুল মান্নান বলেন, উনার (খালেদা জিয়ার) দলের মহাসচিব বলেছেন আওয়ামী লীগ নাকি ৩০টা সিট পাবে না। সিট জনগণের হাতে। মানুষ যাকে ভোট দেবে তারাই জয় লাভ করবে। আজ উনারা ৩০টা সিট আওয়ামী লীগের জন্য বরাদ্দ করলেন। আল্লাহ অহমিকা পছন্দ করেন না। খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ২০টা সিটও পাবে না এবং  শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হবে না। তার সেই কথা প্রমাণিত হয়েছে। উনি এখন বিরোধী দলের আসনেও নেই।
 
**ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিজয়ী ৩ কন্যাকে সংসদে অভিনন্দন

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এসএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।