নকল কসমেটিকসের আড়ালে তারা জঙ্গি কর্যক্রম চালাতেন। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, পাউডার তৈরি আড়ালে তৈরি হতো বোমা।
নামাগেন্ডার আব্দুল হালিমের বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয় মাস তিনেক আগে। ছয়টি রুম ভাড়া নেন চারজন মিলে। মো. কামাল হোসাইন, মো. ইব্রাহীম হোসেন, মো. পলাশ হাওলাদার এবং তাদের বোন পরিচয়দানকারী নাসরীন।
এমনটি বাংলানিউজকে বলেন, জঙ্গিদের সামনের বাসার ভাড়াটিয়া লিপি আক্তার। তিনি জানান, তারা বাসাটিতে বিভিন্ন প্রকার পার্লারের কসমেটিকস ও এর সরঞ্জাম মজুদ করতেন বা বানাতেন। ভেতরেই এমন পণ্য ছিল।
কিছুদিন ধরে তাদের কাছে ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম ও তথ্যাদি চাওয়া হলে বাসা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন বলেও জানা যায়।
এছাড়া চলাফেরা ছিল সন্দেহজনক। আসা-যাওয়া ছিল অনিয়মিত। কারো সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগও ছিল না।
অভিযান শেষে বাসা থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড মিলেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-শিবির জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শুক্রবার (২৬ মে) রাত থেকে সাভার নামাগেন্ডা এলাকার ওই ছয়তলা বাড়ি ঘেরাও করে রাখে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
জঙ্গি আস্তানায় থেকে থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসএইচএন/আইএ