ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৎস্য ভবন উঠিয়ে দেওয়ার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
মৎস্য ভবন উঠিয়ে দেওয়ার দাবি অনুষ্ঠানে বক্তব্য ‍রাখছেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে মৎস্য ভবনকে উঠিয়ে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্মচারী ইউনিয়ন। 

সোমবার (২৪ এপ্রিল) ইউনিয়নের ৩৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।

ইউনিয়নের নেতারা মৎস্য ভবন সরিয়ে অন্য স্থানে স্থানান্তরের দাবির পাশাপাশি এ এলাকাকে শিল্পকলা একাডেমির অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান।

‘শিল্প-সংস্কৃতি-সৃজনশীলতা, জয় জয় মানবতা’ শিরোনামে এ নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।  

তিনি এসময় বলেন, মৎস্য ভবন নিয়ে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবো। ছবি: দীপু মালাকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানরা পড়ার চাপে সংস্কৃতিতে যেতে পারছে না। এরা নিরেট মানুষ হিসেবে তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি নিরেট মানুষের মগজে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এ থেকে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজটি করতে পারবে না, তা হলো ওই মগজে প্রবেশের বিষয়টি। এ জন্য দরকার সংস্কৃতি চেতনার লড়াই।

নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, মৎস্য ভবন শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। এটা নিলে শিল্পকলার বিভিন্ন কাজে আসবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান, শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুমিন মিয়া।

আয়োজনের প্রথম দিন (২৪ এপ্রিল) রাতে ‘মেরাজ ফকিরের মা’ এবং ‘শিখন্ডী’ নাটক দিয়ে উৎসব শুরু হয়। ১০টি নাট্যদল এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে।

সূচি অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিল মঞ্চস্থ হবে ‘গহর বাদশা ও বনোছাপরী’, ‘বন্দুক যুদ্ধ’ ও ‘গাধার হাট’; ২৬ এপ্রিল ‘কোর্ট মার্শাল’ ও ‘মহাজনের নাও’; ২৭ এপ্রিল ‘আওরঙ্গজেব’ ও ‘রাঢ়াঙ’ এবং ২৮ এপ্রিল মঞ্চস্থ হবে ‘কঞ্জুস’ ও ‘সার্কাস সার্কাস’।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
কেজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।