নীলফামারী: শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়, সম্পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সংগঠন স্ট্যান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটি (এসপিজিআরসি)।
বুধবার দুপুরে এসপিজিআরসির নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শাখা শহরের বাঁশবাড়ী টালী মসজিদসংলগ্ন সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয় সৈয়দপুর শহরের ২২টি ক্যাম্পে বসবাসকারী আটকেপড়া পাকিস্তানিরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সৈয়দপুর শাখার সভাপতি মো. রেয়াজ আকবর। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম খান, আব্দুল লতিফ, মো. ওয়াহেদ, মো. কোরবান, মো. টিপু, মো. নাসিম বাগী ও নূর উদ্দিন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আটকেপড়া পাকিস্তানিরা প্রায় ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শুধু সৈয়দপুরের ২২টি ক্যাম্পেই প্রায় ২৫ হাজারের মতো উর্দূভাষী রয়েছে। ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দূভাষীদের (বিহারি) ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নেই।
অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে কোনো রকমে বেঁচে থাকার তাগিদে বসবাস করছে এসব মানুষ। চিকিৎসা, শিা, বাসস্থানবঞ্চিত এসব মানুষ এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্ম ক্রমশঃ অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আটকে পড়া পাকিস্তানিরা কনকনে শীতেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
এছাড়া সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কেউই তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না বলে সাংবাদির সম্মেলনে জানানো হয়।
এসপিজিআরসি’র ৭ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়ন, বাসস্থান, শিা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবন্দোবস্ত, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পে বসবাসরতদের জোরপূর্র্র্বক উচ্ছেদ বন্ধসহ সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, অতি শিগগিরই আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সরকার ও এসপিজিআরসি’র মধ্যে ত্রিপীয় বৈঠক আয়োজন, রেলওয়েসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সন্তানদের অগ্রাধিকার।
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তাদের সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানকল্পে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক নেতাদের প্রতিও অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১১