ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টেন্ডারবাজি বন্ধে চালু হচ্ছে ইজিপি পদ্ধতি

উবায়দুল্লাহ বাদল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০
টেন্ডারবাজি বন্ধে চালু হচ্ছে ইজিপি পদ্ধতি

ঢাকা: টেন্ডারবাজি বন্ধে ইলেক্ট্রনিক্স গভার্নমেন্টস প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ পদ্ধতি চালু করতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকে (সিপিটিইউ) দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।



বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ পদ্ধতি চালু হবে।

গত ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ষষ্ঠসভায় সিপিটিইউকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে সিপিটিইউকে দেওয়া হয়েছিল ইজিপি পদ্ধতি চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব। বৈঠকে তারা এ সংক্রান্ত সুপারিশের প্রতিবেদন পেশ করে।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইজিপি বাস্তবায়ন করতে সিপিটিইউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হলে টেন্ডার কার্যক্রমে টেন্ডারবাজি বন্ধ হবে। ’

স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের অধীনে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সিপিটিইউ।

সিপিটিইউর মহাপরিচালক অমূল্য কুমার দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ পদ্ধতি চালু হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব চালু হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। এর ছয় মাস পর জুলাই- আগস্টে চালু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ’

তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে একটি জাতীয় পোর্টাল হবে।

এ জন্য কতটাকা ব্যয় হবে তার সঠিক পরিমান জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, ‘আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। ’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যাপকভাবে টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। টেন্ডারকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। পত্র-পত্রিকায় এসব মহড়ার ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিকল্প চিন্তাভাবনা শুরু করেন।

এর পরিপ্রক্ষিতে ইজিপি পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। এ পদ্ধতি চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগের সিপিটিইউকে। পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করতে ১৫ মাস সময় দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি। এ সময়ের মধ্যে এসব বিভাগের প্রকৌশলীদের ইজিপি পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ সময়ের মধ্যে এসব বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন ‘টাইম টু টাইম’ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিপিটিইউকে। পাশাপাশি প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে টেন্ডার সংক্রান্ত কাজে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার সংক্রান্ত যে কোনো কার্যক্রমে স্থানীয় পুলিশ ও র‌্যাব স্টেশনকে অবহিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।