ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

অলিম্পিক গেমস নিয়ে দুই কোরিয়ার আলোচনা শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
অলিম্পিক গেমস নিয়ে দুই কোরিয়ার আলোচনা শুরু আলোচনা শুরুর আগে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের করমর্দন

ঢাকা: দীর্ঘকালের মারমুখী ভাব ও উত্তেজনার পারদ একদিকে সরিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দু’দেশের সীমান্তবর্তী ‘শান্তিগ্রাম’ পানমুনজমে শুরু হওয়া এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মূল এজেন্ডা শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অংশগ্রহণ। ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়েঅনচ্যাংয়ে এই গেমসের আসর বসবে।

উল্লেখ্য, গত দু’বছরের মধ্যে বিবদমান দেশ দুটির মধ্যে এটাই প্রথম আলোচনা। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে আন্ত-কোরিয়া সম্পর্কের উন্নয়নে তারা সম্ভব সবকিছু করবে। দেশ দুটির মধ্যে সর্বশেষ আলেঅচনা হয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। এর একটি কারণ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম ও যুক্তরাষ্ট্রের তরফে উত্তর কোরিয়ার প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ।

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ায় কায়েসং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট নামে যৌভভাবে পরিচালিত একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্কে তিক্ততা কেবলই বেড়েছে।

এ ঘটনার পর সিউলের সাথে পিয়ং ইয়ং ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি টেলিফোন যোগাযোগও।

এ অলিম্পিক ‘শান্তি অলিম্পিক’
দু’পক্ষই ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। দু’পক্ষের নেতারাই আলোচনায় বসার আগে মিডিয়ার কাছে আশাবাদী ও ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেদেশের ইউনিফিকেশন (একত্রীকরণ) মন্ত্রী চো মিয়োউং-গিয়ন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পিয়েঅনচ্যাং অলিম্পিক গেমস হয়ে উঠবে এক শান্তি অলিম্পিক। কেননা সেখানে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে সম্মানিত অতিথিরা সারাবিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অতিথিদের সঙ্গে এসে যোগ দেবেন্।

আর দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন শীতকালীন গেমসকে ‘‘শান্তি অলিম্পিক’’ বলে অভিহিত করে বলেন, দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য এটা এক সুবর্ণ সুযোগ।
উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়ক উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রধান রি সং-গউন। তিনি বলেন, আলোচনায় আমরা আমাদের দক্ষিণী ভাই-বেরাদরদের অমূল্য ইতিবাচক ফল উপহার দিতে এসেছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন দুই পক্ষই সাবধানে পা ফেলবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দু’পক্ষই চায় এবারের আলোচনায় সম্পর্কের বরফ কিছু হলেও গলুক।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।