ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

সু চিকে কক্সবাজারে যেতে বললো জাতিসংঘ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
সু চিকে কক্সবাজারে যেতে বললো জাতিসংঘ সু চিকে কক্সবাজারে যেতে বললো জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত নির্যাতনের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করতে অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সংস্থাটির সাতজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত প্যানেল জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এ জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, শরীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, দুই শতাধিক গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় ভাষণে মিয়ানমারের পরিস্থিতি অনুধাবনের জন্য ক্ষমতাসীন নেত্রী সু চি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ গত কয়েক সপ্তাহেই প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। রাখাইন ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা সু চির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সদিচ্ছা থাকলে পালিয়ে আসা মানুষদের কথা নোবেলজয়ী নেত্রীর শোনা উচিত।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কখন, কোন হামলার দায় সাধারণ মানুষকে নিতে হবে এবং ক্রমাগত অভিযান চলবে তা হতে পারে না বলেও মত দিয়েছে জাতিসংঘ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা বিশেষজ্ঞরা হলেন মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি, বিচারবহির্ভুত বা নির্বিচার হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ দূত এগনেস ক্যালামার্ড, সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ দূত ফার্নান্ডডে ভেরেনেস, গৃহায়ন ও জীবন-যাত্রা বিষয়ক দূত লেইলানি ফারহা, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার বিষয়ক দূত সিসিলিয়া জিমেনেজ, বর্ণবাদ বিশেষজ্ঞ মুতুমা রাতেরে ও ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূত আহমেদ শাহিদ।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলছে, এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালেও রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করা হয়। আর এবার ‘পদ্ধতিগত পরিকল্পনায়’ নিধন চলছে।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, গত ২৪ আগস্ট রাত থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলা হচ্ছে; জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নিধন’।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।