রোববার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক র্যাবের দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা ঘোষণা করেছেন।
দেশজুড়ে মাদকের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ মেধাকে রক্ষা করতে মাদক দমন করতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ-র্যাব সর্বত্র অভিযান পরিচালনা করছে এবং এটা সবসময় চলবে।
জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মতো মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে সর্বত্র প্রচারণাসহ যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। পাশাপাশি অভিযান চলবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে কোনো মূল্যে মাদক রুখে দাঁড়াবো।
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশব্যপী ১০ লাখ পোস্টার-লিফলেট বিতরণের কথা জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জাতিগত যুদ্ধ করতে হবে। ৭১ সালের পর বিভিন্ন ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। এবারও আশা করি এর একটা ভালো ফলাফল পাবো, মানুষ বিজয়ী হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডিলার সে যেই হোক, তাকে এ পেশা ছাড়তে হবে। হু এভার, হোয়াট এভার, হোয়ার এভার, কেউ আমাদের অপারেশনের বাইরে নয়। মাদকের শিকড়-বাকড়সহ তুলে নিয়ে আসবো।
মাদকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, ওইসব হাত থেকে আইনের হাত অনেক বড়। দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনো অপশক্তি পরাজিত করার ক্ষমতা আমাদের আছে। ২০ বছরের সমস্যা ২০ দিনে সমাধানের প্রত্যাশা করবেন না। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপ আমাদের টার্গেট নয়। মাদকসেবী থেকে মাদক ব্যবসায়ী, বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরাই আমাদের টার্গেট। মাদকের বিরুদ্ধে জাতিগত ঐক্যের কথা বলছি। আমাদের অপারেশনের স্কোপ কতো বড় হবে সেটা বলেছি। কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নয়, আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থায় আমরা মোকাবেলা করবো। আইনের সবদিক ব্যবহার করে সবাই মিলে দেশকে মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
পিএম/আরআইএস/