ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুফিদের জীবনচারিতাই বিশ্বশান্তির নিয়ামক

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
সুফিদের জীবনচারিতাই বিশ্বশান্তির নিয়ামক সুফিদের জীবনচারিতাই বিশ্বশান্তির নিয়ামক

চট্টগ্রাম: বিনয়, বিলাসিতাহীন জীবন, দায়িত্ববোধ ও আড়ম্বরহীনতা সুফিদের চর্চিত এই জীবনচারিতাই বিশ্বশান্তির নিয়ামক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম শমসের আলী।

 

নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির আয়োজনে সুফিতাত্ত্বিক মিলনমেলায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  

মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ড. এম শমসের আলী আরও বলেন, ‘আড়ম্বরতা, ভোগ-বিলাস ও অনৈতিক উচ্চাভিলাষ মানুষের জীবনের সার্বিক অধোগতির মূল কারণ।

নিজের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির চেয়ে অন্যের শান্তি দিকে জোর দিতে পারলে সারাবিশ্বে প্রত্যাশিত শান্তি ধরা দিবে।

‘পাঠ্যপুস্তকে আজ মানবতাবোধের কথা নেই।

মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও মনের সাথে মনের মিলের কথা নেই। ভালবাসা নেই পরিবারে।  যুব সমাজ অবক্ষয়ে ধুঁকছে। পাঠ্যপুস্তকে মহামনীষীদের জীবনকর্মের ওপর প্রবন্ধ-গল্প থাকলে বর্তমান প্রজন্ম আজকের এই অবক্ষয় থেকে পরিত্রাণ পেতো। ’ 

তিনি বলেন, সম্পদ বিলি করা ছাড়াও সমাজ ও মানুষের জন্য যে কল্যাণ করা যায় তা আমাদের বুঝতে হবে। সম্পদ ও সম্মান অর্জনের পাল্লায় নিজেকে সঁপে না দিয়ে সত্যিকার অর্থে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হবার সাধনা করে যেতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পেশাজীবীদেরকে নীতি নৈতিকতা মেনে চলা প্রয়োজন।  

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মানুষে মানুষে এখন ভালোবাসা কমে গেছে। এর ফলে পারিবারিক, সামাজিক দূরত্ব বেড়ে গেছে। যা অশান্তির অন্যতম কারণ। তাই পরিবার ও সমাজে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পারলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সুফি সাধকের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে। ’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মাইজভাণ্ডারী দর্শন অনুসরণেই কেবল শান্তি ফিরে আসতে পারে প্রতিটি স্তরে। কারণ মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ শিক্ষা দেয় মানবতার, অহিংসার, ভ্রাতৃত্বের ও সকল ধর্মের মানুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের। ’

সুফিতাত্ত্বিক মিলনমেলায় ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় নৈতিকতার গুরুত্ব ও পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার, অধ্যক্ষ ঝরনা খানম, অ্যাডভোকেট মনোতোষ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী শফিকুর রহমান, প্রফেসর সুমন কান্তি বিশ্বাস, মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, এইচএম রাশেদ খান, অ্যাডভোকেট কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী বাবর, প্রফেসর ড. বশির আহমদ, দিলরুবা খানম, এম সলিমুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।