ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সারাদেশে আরও ৭৫২টি ক্লোভার লিফ ইন্টারসেকশন

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
সারাদেশে আরও ৭৫২টি ক্লোভার লিফ ইন্টারসেকশন ইন্টারসেকশন

ঢাকা: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দেশবাসী পেয়েছে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক)। ঢাকার জুরাইন থেকে মাওয়া এবং শরীয়তপুরের পাচ্চর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে।

এটি এশিয়ান হাইওয়ের করিডোর-১ এর অংশ এবং বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। এই দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুর ভাঙ্গায় ক্লাসিক ক্লোভার লিফ ইন্টারসেকশন নির্মিত হয়েছে।

ক্লোভার লিফে যেমন চারটি পাতা সমানভাবে চারদিকে চলে গেছে, একইভাবে ভাঙ্গা ইন্টারসেকশনে চারটি রুট চারদিকে চলে গেছে। কোথাও ফ্লাইওভারের মতো কোথাও আবার ওভার পাসের মতো।

ফলে এখানে একদিকে যেমন কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যদিকে হারিয়ে গেছে যানজট। একই সঙ্গে সড়কের সৌন্দর্যও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জট লেগে থাকে। দ্রুত গতিতে পাস করতে গিয়ে এসব মোড়ের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে সব সময়।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, জটলা রোধ ও সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ৭৫২টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, সারাদেশের মহাসড়কে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করার জন্য ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নকশা করা হচ্ছে। সড়কের কোথায় বেশি জটলা হয় সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নকশা করা হচ্ছে। এমন মোট ৭৫২টি স্থান নির্বাচিত করা হয়েছে। করোনা সংকট কেটে গেলে ৭৫২টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করতে কি পরিমাণ ব্যয় হবে তা ঠিক করা হবে।

সকল ইন্টারসেকশন বিদেশি আদলে দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণ করবে সরকার।     

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ প্রধান মাহেবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নকশার কাজ শুরু করেছি। ভাঙ্গার মতো ৭৫২টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করবো। একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় সব নির্মাণ করবো। মূল প্রকল্প নির্মাণে অনেক ব্যয় হবে। কারণ প্রতিটা ইন্টারসেকশন হবে দৃষ্টিনন্দন। ক্লোভার লিফের মতো চার দিকে চারটি রুট চলে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ইন্টারসেকশন নির্মাণ করার পাশাপাশি আরো কিছু উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক যাত্রা স্থানে ওজন পরিমাপক সেতু স্থাপনের মাধ্যম ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করা। ১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি শেষ হবে।

দুর্ঘটনার পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য ১২৮টি নতুন স্পটে সাইন ও মার্কিং স্থাপন করা হবে। এতে ৬৩১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, জাতীয় মহাসড়কের ১২১টি এক্সিডেন্ট ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করে উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনাও কমেছে। একইভাবে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি জটলা থাকবে না বলে দাবি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। করোনা সংকট কেটে গেলে মূল প্রকল্প গ্রহণের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।