ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রমাণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত-ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেওয়া হয়েছে। এখন যেকোনো উপায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক।

বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা অডিটরিয়মে ‘শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ’ কমিটির সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দুদক। অনুষ্ঠানে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সেরা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে বাচ্চুর ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে দুদকে। সে প্রতিবেদনে দুর্নীতির সঙ্গে বাচ্চু জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন যেকোনো উপায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে  দুদক।  

এসময় দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম ও সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এখনও প্রতিবেদনটি দুদকে আসেনি। সেটি পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো কি, নেবো না সেটি বোঝা যাবে।

এরআগে বেসিক ব্যাংকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ৫৬টি মামলা করে দুদক। ২০১৫ সালের ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান, পল্টন ও মতিঝিল থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

এছাড়া বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির মামলাগুলোর ১৫৬ জন আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহিতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এ মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক।

শুধু তাই নয়, ’১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও তখনকার পর্ষদ সদস্যদের নাম দুদকের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন নোয়াখালীর হারুনুর রশীদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি দুদক, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ওই ঋণ জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠান। তিনটি প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালত এখনও কোনো রায় দেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭/আপডেট: ১৫৩০
এসজে/এএটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।