ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরাদ্দ কমছে পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী টানেলে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
বরাদ্দ কমছে পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী টানেলে কর্ণফুলী ও টানেল পদ্মাসেতু

ঢাকা: পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলসহ ১০টি মেগা প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার  বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয় সরকার। তবে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করতে যাচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে সেতু বিভাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘পদ্মা বহুমূখী সেতু নির্মাণ’, ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ ও ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল’ নির্মাণে বরাদ্দ কমছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্পে এডিপিতে ৬ হাজার ২৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিলো।

তবে খরচ করতে না পারায় আরএডিপি’তে বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৬৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। ফলে এডিপি থেকে আরএডিপি’তে পদ্মাসেতুর বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৩৫২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু আরএডিপি’তে বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ৪৩২ কোটি টাকা। ফলে বরাদ্দ কমছে ৭৬৮ কোটি টাকা।  
 
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। আরএডিপি’তে কমে দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। ফলে মোট বরাদ্দ কমছে ৫৬০ কোটি টাকা।

সেতু বিভাগের এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিলো ৯ হাজার ২০৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কিন্তু আরএডিপি’তে মোট বরাদ্দ থাকছে ৬ হাজার ৫২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

সেতু সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোথাও বরাদ্দ কমেনি। যেটুকু খরচ করা দরকার, সেটুকুই খরচ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালককে প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে’।
 
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, মূল সেতুর কাজ ৩৫ শতাংশ ও নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জাজিরা, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শেষের দিকে। এডিপি’তে বরাদ্দের টাকা সব খরচ করা গেলে আরও অগ্রগতি বাড়তো পদ্মাসেতু প্রকল্পের।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এডিপি’র তুলনায় আরএডিপি’তে টাকা কমবে। আমরা পদ্মাসেতুর যতোটুকু কাজ আশা করেছিলাম, ততোটুকু হচ্ছে না। যে কারণে টাকা খরচও কম হচ্ছে’।

‘সেতুর মাওয়া সাইডে আমরা কোনো কাজ করতে পারছি না। এ সাইডে আরও কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা বাকি আছে। এক একটি পরীক্ষা করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যায়। বিশেষজ্ঞরাও সঠিকভাবে সময় দিতে পারেননি। যে কারণে এডিপি’র সব টাকা খরচ হচ্ছে না। মাওয়া সাইড বাদ দিয়ে আমরা এখন জাজিরা ও মূল সেতুতে কাজ করছি’।

এবারের এডিপি থেকে আরএডিপি’তে বড় ধরনের পরিবর্তনের আসছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপি’র অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে বরাবরের মতো এবারও মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা অথবা আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কয়েক হাজার কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।