বুধবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের ইনকিউবিশন পিরিয়ড বা রোগ সঞ্চার থেকে প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার সময় কমপক্ষে ১৪ দিন ।
তাই এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থান করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন মেয়র।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিন্দু পরিমাণ অবহেলা-অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সরকারের খাদ্য সাহায্য বণ্টনে কোনো ধরনের অনিয়ম যদি পাওয়া যায় সে যেই হোক না তার রক্ষা নেই।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন অর্থশালী-সম্পাদশালী হয়ে ওঠার অপচেষ্টা না করেন। । সরকারিখাদ্য সহায়তা নিয়ে কোনো রাজনীতি কাম্য নয়। সরকারি এজেন্সির লোকজন এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছেন। এতে কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার দ্বিধা করবে না। তাই সরকারি খাদ্য সহায়তা যত দ্রুত সম্ভব অভুক্তদের জড়ো করে নয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানাই।
মেয়র বলেন,নগরের ওয়ার্ডগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিলি হচ্ছে। এতে করে সরকারি খাদ্য সহাযতা কেউ কেউ একাধিকবার পাচ্ছে আবার কেউ কেউ একদমই পাচ্ছে না। এ ধরনের অভিযোগ কারও কাম্য নয়। তাই সরকারি খাদ্য সহায়তা এবং সমাজের বিত্তবান, এনজিও মাধ্যমে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিলির ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
এ অবস্থানয় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার অসচ্ছল ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়নপূর্বক তালিকা অনুযায়ী সরকারি খাদ্য সহায়তা কিংবা বিত্তবান এবং এনজিও বা সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত সব খাদ্যসামগ্রী বিলি করলে কেউ বাদ যাবে না বলে সিটি মেয়র মনে করেন।
>> করোনায় সংক্রমণ রোগীর পাশে থাকবেন মেয়র নাছির
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এআর/টিসি