সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মালিবাগ থেকে মো. সোহেল (২২) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সোহেলের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়।
এর আগে রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে আমবাগান মোড়ে একটি গ্যারেজে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে মো. নাহিদ (২০) নামের এক যুবককে খুন করে তার বন্ধু।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাহিদসহ কয়েক মিলে সোহেলকে মারতে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে সোহেল নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয়। গুরুতর আহত নাহিদকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, হত্যাকাণ্ডের পর রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়ে যায় সোহেল। চট্টগ্রামে তাকে না পেয়ে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল সোমবার সকালে ঢাকার মালিবাগে রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানান, নাহিদ তার বন্ধু ছিল। শনিবার ঝাউতলা এলাকায় নাহিদরা মারামারি করতে গিয়েছিল। সে না যাওয়ায় রোববার রাতে নাহিদ কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর সোহেলকে মারধর করে নাহিদ। তখন সোহেল হাতে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নাহিদের পেটে আঘাত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি