মঙ্গলবার (২৮ মে) মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা দায়েরের পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন সাবের আহমদ।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার আসামি সাবের আহমদ। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে ‘গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল’। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন সোহেলকে ‘সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ’ হিসেবে দাবি করা হয়।
কিন্তু ৮ জানুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির দাবি করেন মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পেছনে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি করা হয়।
৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ডবলমুরিং থানায় মহিউদ্দিন সোহেল ‘নিহত হওয়ার’ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির। মামলায় ২৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে গত ২২ এপ্রিল রাতে ডবলমুরিং থানা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযু্দ্ধে’ নিহত হন মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এসকে/টিসি