২০১৭ সালের জুলাই মাসে চাক্তাই খালে পড়ে ৮ বছরের এক শিশু মারা যায়। তাই বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চকবাজার চাক্তাই খালের আশপাশের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, বছরের পর বছর বর্ষার মৌসুমে চাক্তাই খাল ও পাশের রাস্তা একাকার হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে কোমরপানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার (১২ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, চকবাজার ধনিরপুলের পরে চাক্তাই খাল ও রাস্তা পানিতে সমান হয়ে গেছে। কেউ যাতে খালে পড়ে না যায় সেজন্য চাক্তাই খালের পাড়ঘেঁষে বাঁশ ও লাল ফিতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কাগজ-কলমে এটিকে খাল বলা হলেও, জলাশয়ের চেহারা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে খালটি। এখন রাস্তা আর জলাশয় বলে পৃথক কিছু নেই।
মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের ভবনে থাকা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজার এলাকায় বসবাস করছি ২০ বছর। কোনোদিনও দেখিনি, খালে জমে থাকা বর্জ্য পরিষ্কার করতে, সংস্কার করতে। বাসার পাশে ছেলের কলেজ হওয়ায় এলাকা ছেড়ে যাইনি। না হয়, অনেক আগেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম।
চকবাজার কাঁচাবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, বেঁচে আছি সেটি অনেক সৌভাগ্যের। যত্রতত্র বর্জ্য, রাস্তা সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি সব মিলিয়ে অসহ্য পরিস্থিতিতে দিন পার করতে হয় চকবাজারের বাসিন্দাদের। তার ওপর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবন্ত এলাকা। জীবন একেবারে অচল হয়ে গেছে!
এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ!
বাকলিয়া সরকারি স্কুলমাঠে মাছ ধরছে মানুষ!
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ১২ জুন ২০১৮
জেইউ/টিসি