ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ! এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ।

চট্টগ্রাম: ‘একদিকে পাহাড়ি ঢল, অন্যদিকে ভারী বৃষ্টি। ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভাসহ ১৪ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। দুই দিনে পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। অনেকের হাতে টাকা থাকলেও তারা অসহায়। এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ।’

মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বাংলানিউজকে এভাবেই বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পরিস্থিতি অবহিত করেছি।

কিন্তু এ মুহূর্তে ত্রাণসামগ্রী পাঠালেও পৌঁছানো অসম্ভব। বেশিরভাগ ইউনিয়নের সড়কে কোমরপানি।
বেশকিছু সড়ক পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। তারওপর তীব্র স্রোতের টান। ভোররাতে কাঞ্চননগর ইউনিয়নে দ্বীপের মতো একটি বাড়ির গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটজনকে। ’

পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফটিকছড়ির বেশিরভাগ ইউনিয়নের সড়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নারায়ণহাট, ভুজপুর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, পাইন্দং, লেলাং, রোসাংগিরি, নানুপুর, বক্তপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর, সমিতিরহাট, আবদুল্লাপুর, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌর এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুর-দীঘি, মাছের খামারের মাছ, মুরগির খামার ও গৃহপালিত পাখি এবং গবাদি পশু। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর যান চলাচলও।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

ফটিকছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (মোবাইল ০১৭৩৩৩৩৪৩৪৮, ০১৭১২২০৩২৩১)  চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় স্থানান্তর, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় রাত সাড়ে নয়টায় বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ি ঢল কিছুটা কমেছে। এখন পানি সমিতির হাট, রোসাংগিরি, নাজিরহাট এলাকায় কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশাকরি, ভোররাত তিনটার পর থেকে পানি কর্ণফুলী ও হালদার ভাটার টানে কমে যাবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিকভাবে ১০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নাজিরহাটে দুইটি স্কুল, নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ, ফটিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বন্যার্তদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।