মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বাংলানিউজকে এভাবেই বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পরিস্থিতি অবহিত করেছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নারায়ণহাট, ভুজপুর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, পাইন্দং, লেলাং, রোসাংগিরি, নানুপুর, বক্তপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর, সমিতিরহাট, আবদুল্লাপুর, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌর এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুর-দীঘি, মাছের খামারের মাছ, মুরগির খামার ও গৃহপালিত পাখি এবং গবাদি পশু। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর যান চলাচলও।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
ফটিকছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (মোবাইল ০১৭৩৩৩৩৪৩৪৮, ০১৭১২২০৩২৩১) চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় স্থানান্তর, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় রাত সাড়ে নয়টায় বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ি ঢল কিছুটা কমেছে। এখন পানি সমিতির হাট, রোসাংগিরি, নাজিরহাট এলাকায় কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশাকরি, ভোররাত তিনটার পর থেকে পানি কর্ণফুলী ও হালদার ভাটার টানে কমে যাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিকভাবে ১০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নাজিরহাটে দুইটি স্কুল, নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ, ফটিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বন্যার্তদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এআর/টিসি