রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউর মেজবান হলে সিডিএ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ আয়োজনে ‘চিটাগাং স্ট্র্যাটেজিক আরবান মাস্টারপ্ল্যান’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী নগরীতে ময়লা, দুর্গন্ধ এবং চট্টগ্রামে পার্ক করতে চাইলে চসিকের আপত্তির কথা জানান। এর পর বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র হাসনী।
পূর্তমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে প্যানেল মেয়র বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য শুনে আমি অবাক হলাম। তিনি গতকাল ডিসি হিল পরিষ্কার করেছেন।
‘আমি জানি না আমাদের সিটি করপোরেশন বা মাননীয় মেয়রের কাছে মন্ত্রী মহোদয়ের কী সমস্যা। কেননা, মন্ত্রী মহোদয় বক্তব্যে বলতে চেয়েছেন সিটি করপোরেশনের দরকার নেই। সিটি করপোরেশন সরকারের একটি অংশ কি না, আজকে সেটি আমার ভাবতে অবাক লাগে। ’
প্যানেল মেয়র বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আড়াই বছরে আমরা যে কাজ করেছি, ৫০ বছরের যে হকার উচ্ছেদ করেছি। এর আগে মন্ত্রী মহোদয় আমাকে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, রাস্তার ওপর এসব দোকানপাট তোমরা চোখে দেখ না? তোমার মেয়র চোখে দেখে না? তখন আমি উনাকে কিছুই বলিনি। আমি বলেছিলাম একটু অপেক্ষা করেন, দেখাবো আপনাকে। আজকে কি উনি নিউমার্কেটে যাননি? আজকে রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে দিয়ে যাননি? আজকের এই পরিস্থিতি আমরা কি পলিটিক্যাল শিকার নই?’
‘অবশ্যই, মন্ত্রী মহোদয়কে আমি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আমরা উনার ছেলের সমতুল্য। একটি পার্ক নিয়ে উনার সাথে আমাদের একটু সমস্যা হয়ে গেছে। এই পার্কটি মনজুর সাহেবের আমলে ছিল না? তখন উনি মন্ত্রী ছিলেন না? তখন আমরা যখন সুইমিং পুল করছিলাম। তখন উনি বাধা দিতে পারেননি। যখন সুইমিং পুল করলাম, যখন উন্নয়নের জন্য টেন্ডার করলাম। তখন কি উনি মন্ত্রী ছিলেন না?’
তিনি বলেন, ‘এ শহরে আমি আজকে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, কেউ মন্ত্রী। যার যার অবস্থানে তিনি। একদিন তো পাবলিক হয়ে যাব। একদিন তো আমাকে ওই পেছনের চেয়ারে বসতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। এ শহরকে সুন্দর শহর গড়ার জন্য। বলা হচ্ছে দুর্গন্ধ। বলা হচ্ছে ময়লা। আসুন সকালবেলায় শহরটা আগের চেয়ে বেশি পরিষ্কার আছে কি না? হয়তো একশ ভাগ পারি নি। ডোর টু ডোর ময়লা কালেকশন করছি। আমরা চেষ্টা করছি। যে মানুষগুলো কাজ করছে, তারাও এ শহরের মানুষ। আমরা মেয়রের নেতৃত্বে ৫৫ জন কাউন্সিলর রাতদিন পরিশ্রম করি। আমরা কোরবানির দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করিনি। এ শহরে আপনারা থাকেন না, বসবাস করেন না? সকালে শহর পরিষ্কার দেখেন না?’
হাসনী আরও বলেন, আজ শহরের ট্রান্সপোর্টেশন নিয়ে কাজের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কাজগুলো যে বা যারাই করেন না কেন, ৫০ থেকে ১০০ বছরের ভিশন রেখেই কাজ করতে হবে। আমি বলছি না, সিডিএ উন্নয়ন করছে না। সিডিএ উন্নয়ন করছে। ফ্লাইওভার করছে, রাস্তা করছে। সিটি করপোরেশনও করছে। আমার কথা হচ্ছে যৌথভাবে মিলেমিশে যদি কাজ করি, তাহলে কাজগুলো সবার জন্য হবে। ’
‘চট্টগ্রামে পার্ক করতে চাইলেই আপত্তি আসে’
স্বেচ্ছাশ্রমে ফুটপাত সাজানোর পরিকল্পনা স্থপতির
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এসবি/টিসি