শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত 'নান্দনিক চট্টগ্রামে নন্দিত নাগরিক' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি হিসেবে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য পাওয়ার চায়নাকে দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করিয়ে প্রকল্প নিয়েছিলেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুভাবে চেষ্টা করেছিলাম।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সিডিএ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এমন নজির নেই। ইদানীং ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে। বিষয়টি মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে।
মেয়র বলেন, খুব সহজে অনেক কিছু বলে ফেলা যায়। আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু যার দায়বদ্ধতা নেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের সময় নিতে হয়। চিন্তাভাবনা করতে হয়।
মেয়র বলেন, এটি আমাদের শহর। এ শহরকে ঢেলে সাজানোর জন্য যে ধরনের সহায়তা দরকার আমাদের করতে হবে। আমাদের মধ্যে চিন্তার ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক। সম্প্রদায়গত, পলিটিক্যাল আইডেনডিটি ও পছন্দের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে। আমি মনে করি জনমত তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এগিয়ে এলে আমাদের দায়িত্ব পালন সহযোগিতা হয়।
তিনি বলেন, নগরীতে একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করতে হলেও সিডিএ অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষে সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্পও সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সিডিএর সেই মেগা প্রকল্পের ডিপিপি চেয়ে চসিকের চিঠি
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এআর/টিসি