ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন করতেই মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
‘জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন করতেই মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে’ বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সরকারি তহবিলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত 'নান্দনিক চট্টগ্রামে নন্দিত নাগরিক' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি হিসেবে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য পাওয়ার চায়নাকে দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করিয়ে প্রকল্প নিয়েছিলেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুভাবে চেষ্টা করেছিলাম।

যেহেতু পানির সমস্যা তাই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে নিয়ে বাকলিয়া পরিদর্শন করেছি। পাম্প হাউসসহ স্লুইসগেট, বেড়িবাঁধ, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের প্রকল্প নিতে অনুরোধ করি।
আমি আবার নিজের দিক থেকে চিন্তা করেছি। বিশাল অঙ্কের বিষয়। তাই আমরা পাওয়ার চায়নার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা ১০ মাস ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছিল পাওয়ার চায়না। তারা সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আগ্রহীও ছিল। কিন্তু এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তবায়নে অনেক সময় লাগে। আরও এক-দেড় বছর সময় লাগবে অগ্রসর হতে। এবার ভারীবর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। খুব বেশি লেখালেখি হলো। একধরনের চাপ সৃষ্টি হলো সরকারের ওপর। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সরকারি তহবিলে মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সিডিএ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এমন নজির নেই। ইদানীং ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে। বিষয়টি মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে।

মেয়র বলেন, খুব সহজে অনেক কিছু বলে ফেলা যায়। আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু যার দায়বদ্ধতা নেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের সময় নিতে হয়। চিন্তাভাবনা করতে হয়।

মেয়র বলেন, এটি আমাদের শহর। এ শহরকে ঢেলে সাজানোর জন্য যে ধরনের সহায়তা দরকার আমাদের করতে হবে। আমাদের মধ্যে চিন্তার ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক। সম্প্রদায়গত, পলিটিক্যাল আইডেনডিটি ও পছন্দের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে। আমি মনে করি জনমত তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এগিয়ে এলে আমাদের দায়িত্ব পালন সহযোগিতা হয়।

তিনি বলেন, নগরীতে একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করতে হলেও সিডিএ অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষে সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্পও সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

সিডিএর সেই মেগা প্রকল্পের ডিপিপি চেয়ে চসিকের চিঠি   

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।