তারা বলেন, ‘শিক্ষক জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবেন। তারা একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদী কাজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোনো ধরনের লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড.মিহির কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষক নিয়োগ হোক সেটি সবাই চায়। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে সেজন্য দরকার হলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। আশা করছি বিষয়টি প্রশাসন বিবেচনা করবেন। ’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মুয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। নিয়োগ বোর্ড যাদের ভালো মনে করেছেন তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন বোর্ডে থাকা অধ্যাপক মুয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আমি গত কয়েকদিন আগেও প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষা নিয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা হোক বা মৌখিক পরীক্ষা হোক, যারা শিক্ষক সিলেকশন করবেন তাদের যেন কোনো পক্ষপাতিত্ব না থাকে’- যোগ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই সভাপতি।
তিনি বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যখন নিয়োগ বোর্ডে থাকবেন তিনি নীতি-নৈতিকতার বিষয়টা, একই সঙ্গে মানের বিষয়টা প্রার্থীর যথাযথ আছে কি না তা যাচাই করবেন। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতি কাজ করবে।
অতীতে শিক্ষক নিয়োগে প্ল্যানিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী চার শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রশ্ন চলে আসছে। এর আগে সিলেকশন বোর্ড যাদেরকে শিক্ষক হিসেবে যোগ্য মনে করতেন তাদের নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতো না। কারণ সিলেকশন বোর্ড প্রার্থীরা শিক্ষক হিসেবে যোগ্য কি না তা কড়ায় গণ্ডায় মেপে দেখতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি