ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চবিতে সাত শিক্ষক নিয়োগ !

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চবিতে সাত শিক্ষক নিয়োগ !

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫০০তম সিন্ডিকেট সভায় লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। 

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নেয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা পরের বছরের জানুয়ারিতে।

দেড় বছর পার করে ২০১৭ সালে ৫০৮ তম সিন্ডিকেট সভা হয়ে গেলেও এখনও কার্যকর হয়নি সেই সিদ্ধান্ত।

এর ফলে সম্প্রতি চবিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন কোনো ধরনের লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই।  

গত মার্চে সাতজন শিক্ষক লিখিত পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
  তবে শিক্ষক নিয়োগের এই প্রক্রিয়া নিয়ে আছে লুকোচুরি।

দেড় বছরে কতজন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন জানতে চাইলে শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.হাছান মিয়া কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।   তিনি এই বিসয়ে অনুমতির জন্য রেজিস্ট্রার বরাবারে আবেদন করার পরামর্শ দেন।  

রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করলে তিনি তথ্য দেয়ার আগে কি ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হবে তা জানতে চান।   উপাচার্যের অনুমতির কথা বলে তিনিও কোন তথ্য দিতে অপারগতা জানান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি।   চলতি বছরের মার্চে এসে ৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।   তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড.মো.কামরুল হুদার দাবি, শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তের পর ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলে।   এরপর একটি কমিটি গঠন করে অধিকতর পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়।   ওই কমিটি এখনও সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় কার্যকর করা যায়নি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত।    

অতীতে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা চবির দুজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার কথা।   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কেন আপত্তি তুলবে।   এটা তো তাদের এখতিয়ারের বাইরে।  

তবে চবির রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি নীতিমালা করছে।   এই নীতিমালা চলতি বছরের জুন নাগাদ কার্যকর হবে।   সেই হিসেবে জুনের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে।   এছাড়া ২৫ নাম্বারের ক্লাশ প্রেজেন্টেশন এবং ২৫ নাম্বারের মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশ নিতে হবে প্রার্থীকে।

শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও ইউজিসির অধ্যাপক ড.মঈনুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।   তবে তিনি এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করেও সাড়া মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।