ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃষ্টি-জোয়ারে জলাবদ্ধতা

দুঃখ প্রকাশ মেয়র নাছিরের

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
দুঃখ প্রকাশ মেয়র নাছিরের পরিদর্শনের একপর্যায়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের সেই তিন সেতুতে যান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও কর্ণফুলীর ভরা জোয়ারের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর অসুবিধা হওয়ায় ‘আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় সরেজমিন আগ্রাবাদ, সিমেন্ট ক্রসিং ও ১৫ নম্বর ঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলানিউজকে দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি জানান।

মেয়র বলেন, অতিবর্ষণ ও কর্ণফুলীর ভরা জোয়ারের কারণে পানি নামতে পারেনি।

সকাল সাতটা থেকে নয়টার সময় যখন বৃষ্টি হয় তখন জোয়ারের কারণে পানি নামতে পারেনি। এরপর যখন ভাটা শুরু হয় তখনো বৃষ্টি পড়ছিল।
তবে দুপুর ১২টার মধ্যে প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার পানি নেমে গেছে। ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে এ নগরের যে খাল-নালা বিদ্যমান আছে তার জন্য সহনীয়। সে তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আজ।

তিনি বলেন, সকালে ভারী বৃষ্টিপাত শুরুর পরপরই চসিকের পরিচ্ছন্নতা ও প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারা রাস্তা থেকে পানি নামার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি দ্বিতীয় মৌসুম। জলাবদ্ধতা উত্তরাধিকার সূত্রে আমি পেয়েছি। তবে আমি চেষ্টা করছি যাতে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। তবে এটি ছোটখাটো বিষয় নয়। এর জন্য আমি কমপ্রিহেনসিভ (সমন্বিত) পরিকল্পনা নিয়েছি। ওয়াল্র্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের বিষয়টি এ মাসে চূড়ান্ত হবে। অতিবর্ষণের সময় জলজট সৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে। নগরীর খালগুলোর মুখে পাম্প হাউসসহ স্লুইসগেট স্থাপন প্রকল্পের ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকে অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।  

দেশের অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে চট্টগ্রাম ব্যতিক্রম উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ নগরে ৩৪টি ছোট-বড় খাল আছে। অনেক খাল বেদখল হয়ে গেছে। কিছু খাল নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। অনেক নালা দখল করে ফেল‍া হয়েছে। এসব বৃষ্টির পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। কর্ণফুলীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং হলো না। পাহাড় থেকে বালু নামছে। মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিছুই বাস্তবায়ন হলো না। আজ যদি মাস্টারপ্ল্যান মানা হতো তবে জলাবদ্ধতা হতো না। অন্তত প্রকট আকার ধারণ করতো না।

জলাবদ্ধতা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হলে নিম্নআয়ের লোকজনকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, এটা মানবিক দায়িত্ব। ইতিমধ্যে যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, মানবতা বিপন্ন হয়েছে সেখানেই আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। এক্ষেত্রেও অসহনীয় পরিস্থিতি হলে অবশ্যই আমরা পাশে দাঁড়াবো।

ডোম খাল পরিদর্শন শনিবার

শনিবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ডোম খাল পরিদর্শন করবেন। এ সময় সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলও থাকবেন।

ভারী বৃষ্টির সঙ্গী জোয়ার, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়ছেই

দু’ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি, নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলজট

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।