ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াতীকরণের প্রভাব পড়েছে চসিকের শিক্ষা খাতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
জামায়াতীকরণের প্রভাব পড়েছে চসিকের শিক্ষা খাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি

চট্টগ্রাম: জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল ইসলামের একান্ত সচিব, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে অর্থ ও সংস্থাপনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি করায় শিক্ষা খাতকে বাণিজ্যিকীকরণের অপচেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।  

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ‘পরিপন্থী ও সাংঘর্ষিক’ চসিকের ‘উদ্ভট’ শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

শফিউলের পরামর্শেই চসিকের শিক্ষা খাতে ভর্তুকি কমানোর নামে ক্রমে বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু।

নুরুল আজিম রনি বলেন, আমরা কখনো কল্পনাই করতে পারিনি চসিক ১১৪ পৃষ্ঠার আলাদা একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছে।

মিডিয়ায় বিষয়টি আমরা দেখেছি। চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশের বাইরে। জাতীয় শিক্ষানীতি বলবত থাকাবস্থায় চসিকের ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা শিক্ষানীতি থাকবে কেন? এখতিয়ার আছে কিনা।   

তিনি বলেন, চসিকের উদ্ভট শিক্ষানীতি প্রণয়নের সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা ছিলেন। কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া ও স্কুল পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলাম। কাজী নাজিমুল জামায়াতপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনে আছেন। উনি স্কুল পরিদর্শক থাকাবস্থায় ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের একটি স্কুল এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মাহমুদুন্নবী চৌধুরী হাইস্কুল নামের একটি স্কুল অনুমোদন দিয়েছেন। দুটি জামায়াত নেতার স্কুল অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি সরকার ও ছাত্রদের মধ্যে বিরোধ তৈরির ক্ষেত্র তৈরি করেছেন এ নীতিমালার মাধ্যমে। তারা দুই কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য পূর্বানুমতি নেননি।

ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে রনি বলেন, যখন বেতন বেশি নেওয়া হচ্ছিল তখন আমরা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে স্কুলের সভাপতি, সিডিএ চেয়ারম্যানের পরিচালিত স্কুলকে ছাড় দিইনি। বাড়তি বেতন-ফি ফেরত দিতে বাধ্য করেছি। আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি স্কুলের পাঠদানের অনুমোদন বাতিল হয়েছে সম্প্রতি। চসিকের স্কুলগুলোতে যে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছিল তা কিন্তু এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। ৬০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে নয় কোটি টাকা। যা অনাকাঙ্ক্ষিত।    

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চসিকের শিক্ষা নীতিমালা নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। শিক্ষাসচিবের কাছে উদ্ভট নীতিমালার একটি কপি পাঠিয়েছি। জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালাটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র। যদি এর মধ্যে ওই নীতিমালা বাতিল করা না হয় তবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতিমালার বাইরে আর কোনো শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল ‍হাসান রুমি, ইয়াছিন আরাফাত কচি, রাহুল বড়ুয়া, একরামুল হক রাসেল, সৌমেন বড়ুয়া, নোমান চৌধুরী, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নাঈম রনি, শাহীন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, গোলাম সামদানি জনি, উপ-প্রচার সম্পাদক এমএ হালিম সিকদার, সহসম্পাদক শেখর দাশ, সুমন দাশ, কায়সার মাহমুদ রাজু, নগর ছাত্রলীগ নেতা বিকাশ দাশ প্রমুখ।        

‘আমাকে ব্যর্থ করার জন্য পুরো শহর ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে’

মোবাইল ও রাজনীতিকে ‘না’ চসিকের শিক্ষাঙ্গনে

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭

এআর/টিসি

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।