ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
মন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের মন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি ১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা।

বুধবার (০১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনেকেই রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত হলেও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের সাহসী ভূমিকা ও অবদানের কোনো মূল্যায়ন হয়নি। আমরা মনে করি তার অনন্য অবদান ও বিরল সাহসিকতার জন্য বীরত্বের খেতাব দেওয়া উচিত ছিল।

স্বাধীনতার মাসের (মার্চ) প্রথমদিনে তার সমগ্র জীবনব্যাপী অপরিসীম ত্যাগ ও মুক্তিযুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খাগড়াছড়ি ইউনিট কমান্ডার রাইস উদ্দিন, বান্দরবানের ক্যাপ্টেন আবুল কাসেম, রাঙামাটির রোনাল্ড রবার্ট পিন্টু, ফেনীর কামাল উদ্দিন, মহানগরের মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বদিউল আলম, জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার সারওয়ার কামাল দুলু, দপ্তর কমান্ডার মো. আলাউদ্দিন, অর্থ কমান্ডার মো. আবদুর রাজ্জাক, প্রকল্প কমান্ডার এসএম ইলিয়াস, পাঠাগার কমান্ডার বোরহান উদ্দিন, সদস্য একরামুল হক চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি, লোহাগাড়ার আবদুল হামিদ, বাঁশখালীর অধ্যাপক আবুল হাশেম সিকদার, চন্দনাইশের জাফর আলী হিরু উপস্থিত ছিলেন। সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারের কমান্ডার আসতে পারেননি বলে জানান মো. সাহাবউদ্দিন।   

তিনি চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানগুলো সংরক্ষণের জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রতি দাবি জানান।  

তিনি পঁচিশে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা, মানবতাবিরোধী অপরাধী, বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীর বাড়ি ও যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর নির্যাতন কেন্দ্র মহামায়া ডালিম হোটেল অধিগ্রহণ করে এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঠেকাতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। যাচাই-বাছাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পরীক্ষা। তবে অনেক জায়গায় আমরা শুনেছি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই হয়নি। আবার ঢালাও অভিযোগও দেখেছি। আমরা সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চাই। ঢালাও অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের জন্য অবমাননাকর।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় ৩ হাজার নতুন আবেদন পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য। আমরা খোঁজ নিয়ে ১০-১২ শতাংশের বেশি নতুন মুক্তিযোদ্ধা পাইনি।   

** মন্ত্রী মোশাররফকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার দাবি

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।