ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সাহিত্য ধর্মীয়ভাবে চিহ্নিত হওয়া উচিত না

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
সাহিত্য ধর্মীয়ভাবে চিহ্নিত হওয়া উচিত না আলোচনাসভায় বক্তারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সাহিত্যকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা ও ভাগ করা যায় না। আমরা যখন বাংলার শিক্ষার্থী হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলি মুখস্ত করি, তখন ধর্মের পরিচয় দিয়ে সাহিত্য পড়ি। তখন পরস্পর বিরোধিতা আমাদের মধ্যে চলে আসে। যদিও সাহিত্য ধর্ম দিয়ে চিহ্নিত হওয়া উচিত না। কিন্তু ধর্মকে বিশ্বাস করে যে সাহিত্য রচিত হয়েছে, তার পরিচয় দিতে গিয়ে আবার ধর্মের কথা চলে আসে।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফ্ফর আহমেদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

আবুল মনসুর আহমদের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আবুল মনসুর আহমদের খোঁজে: বুদ্ধদেব বসুর সাথে তর্কের সূত্র ধরে’ শীর্ষক যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ, জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ও রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট।


 
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাবন্ধিক ও আলোচক হায়াৎ মাহমুদ, মোহাম্মদ শফিউল আলম।
 
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, পাকিস্তান আন্দোলনের একজন নেতৃত্বস্থানীয় পুরুষ হিসেবে আবুল মনসুর আহমদ সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে আমরা বাংলাকে এক করে দেখবো, না ভাগ করে দেখবো- এটা একটা প্রশ্ন। আমরা যদি বাংলাকে এক করে দেখতে চাই, তাহলে ওখানে গিয়ে হোঁচট খাই।
 
মোহাম্মদ আজম তার প্রবন্ধে বলেন, বুদ্ধদেব বসুর প্রবন্ধে তার সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক মতের প্রত্যক্ষ, আর রাজনৈতিক মতের পরোক্ষ প্রতিফলন আছে। আবুল মনসুর আহমদের ক্ষেত্রে আছে তার নিজের চিন্তার সামগ্রিক প্রতিফলন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।