ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

তিন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
তিন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইয়ের প্রচ্ছদ

ঢাকা: কেবল দৃঢ়চেতা রাজনীতিক বা প্রধানমন্ত্রীই নন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পুরোদস্তুর লেখকও। গত বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল তার ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ সমূহ’। এবার তার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি অনুবাদ হচ্ছে তিনটি ভাষায়।

বইটির প্রকাশক আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরইমধ্যে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটির সাতটি সংস্করণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে আগামী প্রকাশনী।

এখন হিন্দি, ইংরেজি ও জার্মান সংস্করণ প্রকাশের কাজ চলছে। ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় ইংরেজি সংস্করণটি প্রকাশিত হবে। এই সংস্করণের প্রকাশকও আগামী প্রকাশনী।

প্রকাশক ওসমান গনি বাংলানিউজকে জানান, হিন্দি সংস্করণ প্রকাশের জন্য কাজ করছে কলকাতার একটি খ্যাতনামা প্রকাশনী সংস্থা। জার্মান ভাষার সংস্করণের কাজ করছে সে দেশের একটি প্রকাশনী। বর্তমানে তিনটি ভাষাতেই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটির অনুবাদের কাজ চলছে।

শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতা বইমেলায়। ভারতের প্রকাশনী সংস্থা ‘সাহিত্যম প্রকাশনালয়’ বইটি প্রকাশ করেছিলো। ২০১৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটির বাংলাদেশ সংস্করণ প্রকাশ করে আগামী প্রকাশনী। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির মেলায় এর সর্বশেষ সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

১১৪ পৃষ্ঠার ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য প্যারিস প্রবাসী চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।  

বইটিতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে ভূমিকা লিখেছেন ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রস্তাবনা লিখেছেন পার্থ ঘোষ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে রয়েছে, শেখ মুজিব আমার পিতা, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সেনাবাহিনী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে, স্মৃতির দখিন দুয়ার-এক, স্মৃতির দখিন দুয়ার-দুই ও স্মৃতি বড় মধুর বড় বেদনার। তৃতীয় অধ্যায়ে ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, বেগম জাহানারা ইমাম ও নূর হোসেনের তিনটি লেখা রয়েছে। শেষ অধ্যায়টির শিরোনাম হচ্ছে ‘একানব্বইয়ের ডায়েরি’।
 
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত শেখ হাসিনার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বই হলো- ‘Who is the father of my son’, ‘ওরা টোকাই কেন?’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্যবিমোচন, কিছু ভাবনা, আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’, ‘People and democracy’,  ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন’, ‘Development of the masses’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা’, ‘Democracy in distress, demeaned humanity’, ‘সহেনা মানবতার অবমাননা’, ‘Living with tears’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’, ‘The Quest for Vision-2021’, ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
আরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।