ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কবিতা

বরষার পদাবলি

শস্তা বৃষ্টির কবিতা | শিমুল সালাহ্উদ্দিন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৬
শস্তা বৃষ্টির কবিতা | শিমুল সালাহ্উদ্দিন

শস্তা বৃষ্টির কবিতা
আচ্ছা ধরো তোমার নাম বৃষ্টি হতো যদি
ঝড়ো হাওয়ায় মাতাল হয়ে ঝরতে তুমি!
নাকি ঝড়তে 
             ঢিমেতেতালে 
                         চুপচাপ নিরবধি?

এই কটি লাইন লেখার পরে বউ আমাকে বললো
ভালো হয় নাই, ধুর কি লিখছো, শস্তা টাইপের হইছে।

শস্তা টাইপের কবিতাও তো কবিতাই, 
                        কবিতা না তাইবা কে হায় কইছে!
শুইনা কথা বলতেছে বউ, আইচ্ছা যাও, সায় দিলাম, হইছে।

বললাম আমি, হইয়া কি লাভ! 
                     তোমার নাম তো বৃষ্টি না যে, আসবা

মেঘলামলিন আকাশ দেখে ঘরের ভেতর বসবা 
আমি তোমার লজ্জ্বা ঢাকবো তুমি আকাশ ঢাকবা
প্রণয়শেষে আড়মোড়িয়ে লাজুকমুখে মৃদুমন্দ হাসবা
কিন্তু হায়! অফিস তোমার, টুট টুট টুট, ঢ্যাশের অফিস—
                   ধুতত! তোমার নামতো বৃষ্টি না যে আসবা! 


খ.

মরণবৃষ্টি নাকি মৃত্যুবর্ষা মৃত্যুবৃষ্টি নাকি মরণবর্ষা
শব্দদুটোর মিলন নিয়ে ভাবি, 

এই সকালে ভাবতে থাকি নতুন একটি কবিতাঘোর
নতুন শব্দচাবি!
 
মৃত্যু এবং বৃষ্টি একই রকম 
একই ব্যাপার লাগে আমার কাছে, 
অপ্রত্যাশিত, কেমন হুটহাট 
তারা আসবেই এবং আসে!

বৃষ্টি আনে মনের মধ্যে ভালোবাসার ভাব, 
আনন্দরঙ ছড়ায় খুব মনে, ময়ূর এবং ময়ূরীরা 
নাচ জুড়ে দেয়, গহন বনে বনে, 
চিনি কিংবা না চিনি পৃথিবীর সব পথে 
ভিজতে নামে উচ্ছ্বাসরঙা তরুণী তরুণে

অন্যদিকে, মৃত্যু আনে কান্না-অশ্রু বান, 
হৃদ ভরে দেয় ব্যথার তুফানে 
কিংকর্তব্যবিমূঢ় ঠেকে সব, কিছুই তখন আর 
যায় না প্রায় যায় না শোনা কানে

এসো, চলো সোনা আজ
বৃষ্টি ও মরে যাওয়াকে যুগপৎ ভালোবাসি 

এক্কেবারে সমান সমান— 
তুমি না চাইলেও, তোমার পেছনে 
ধাওয়ার মতো করে 
                   আসে বৃষ্টি এবং মৃত্যু— 
যেনো দুই ভাই যেনো আজরাইল 
যেনো কেহেরমান,     আলিফ লায়লার টাই!

জানো নাকি, ওরা কি আসলেই দুই ভাই?

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৬
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।