ঢাকা: বেদে জনগোষ্ঠীকে আদমশুমারিতে পৃথক সত্ত্বা হিসেবে গণনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নৃতত্ত্বের আলোকে বেদিয়া জনজাতি’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
গণপ্রকাশনের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে তানভীর রুসমতের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলালউদ্দিন শামসুল আরেফিন, লেখক ভারতের বেদিয়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রক্তিম দাশ, বেদিয়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আনোয়ারুল করিম রাজু, নওরোজ কিতাবিস্তানের স্বত্বাধিকারী মনজুর খান চৌধুরী, সাংবাদিক মৌসুমী দাশ, গবেষক ফারহানা ফাতেমা প্রমুখ।
রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বেদে জনগোষ্ঠী এ অঞ্চলের পুরনো বাসিন্দা। তাদের পৃথক পরিচয় থাকা সত্ত্বেও আদমশুমারিতে তাদের ভিন্ন সত্ত্বা হিসেবে গণনা করা হচ্ছে না। আগামী ১৫ মার্চ শুরু হওয়া আদমশুমারিতে তাদের পৃথকভাবে গণনা করার ব্যবস্থা করার জন্য আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ’
বইটি প্রকাশের জন্য অনুষ্ঠানে রক্তিম দাশ ও আনোয়ারুল করিমকে শুভেচ্ছাবাণী দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘বইটি এদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক বিকাশের একটি প্রামাণ্য দলিল হতে পারে। বেদে জনগোষ্ঠীর মানবিক উন্নয়নে বেদিয়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ’
বইয়ের ওপর আলোচনাকালে অধ্যাপক হেলালউদ্দিন শামসুল আরেফিন বলেন, ‘রক্তিম দাশের গবেষণাধর্মী এই বইটি বেদে জনগোষ্ঠীর ওপর আরও বৃহৎ পরিসরে গবেষণার খোরাক যোগাবে। ’
বেদিয়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আনোয়ারুল করিম রাজু বলেন, ‘বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর উল্লেখ করার মতো সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য থাকলেও তা যথাযথভাবে জানা না যাওয়ার প্রেক্ষাপট থেকেই এই বই প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ’
প্রকাশক মনজুর খান চৌধুরী বলেন, ‘বইটি বাংলাদেশের নিরীক্ষামূলক বইয়ের ইতিহাসে একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। ’
বইটির লেখক রক্তিম দাশ বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বইটির রসদ যোগাড় করা হয়েছে। আশা করি, এ বইয়ে উল্লিখিত তথ্যগুলো নৃবিজ্ঞানের গবেষকরা আরও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করতে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হবেন। ’
নওরোজ কিতাবিস্তান প্রকাশিত এই বই গত একুশে বইমেলায় প্রকাশ করা হয়। নওরোজ কিতাবিস্তান ছাড়াও গণপ্রকাশন-এ এটি পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১