‘মন জোগাতে নয়, মন জাগাতে’ এই ভাবনাকে ভিত্তি করে ২০০৬ সালে শুদ্ধস্বর গ্রন্থ প্রকাশনা জগতে যাত্রা শুরু করে। গত কয়েক বছরে তারা সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, সমাজ, রাজনীতি নানা বিষয়ে দুই শতাধিক বই প্রকাশ করেছে।
গত বইমেলায় শুদ্ধস্বর যেসব উল্লেখযোগ্য বই করেছিল তার মধ্যে রয়েছে হায়াৎ মামুদ সম্পাদিত ‘রুশ উপন্যাস সঞ্চয়ন- প্রথম খ-’, হরিশংকর জলদাসের ‘জীবনানন্দ ও তার কাল’, শোয়াইব জিবরানের ‘কমলকুমার চরিত’।
এবারের বইমেলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশিত বইয়ের তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে : সৈয়দ শামসুল হকের দুটি কবিতার বই ‘তোমার নক্ষত্র এই রক্তের লোহিতে’ ও ‘আমার চোখে তোমার ছবি’, জার্নাল ‘জলেশ্বরীর দিনপত্রী’, নাটক ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের কবিতার বই ‘এখন যেও না, একটু পরে বৃষ্টি হবে’, আবদুল মান্নান সৈয়দের কবিতার বই ‘মাছ সিরিজ’, গল্পগ্রন্থ ‘উৎসব’, আনোয়ার সৈয়দ হকের উপন্যাস ‘ব্যবহৃতা’, বেলাল চৌধুরীরর আত্মজীবনী ‘সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে’, হরিশংকর জলদাসের ‘কসবি’, ওয়াসি আহমেদের গল্পগ্রন্থ ‘নির্বাচিত গল্প’, মামুন হুসাইনের গল্পগ্রন্থ ‘যুদ্ধাপরাধ ও ভূমিব্যবস্থার অস্পষ্ট বিজ্ঞাপন’, উপন্যাস ‘নিক্রপলিস’, প্রশান্ত মৃধার উপন্যাস ‘প্রতিদিন অচেনা মুখ’, অদিতি ফাল্গুনীর গল্পগ্রন্থ ‘অপৌরুষেয় ১৯৭১’, আহমাদ মাযহার ও পিয়াস মজিদ সম্পাদিত ‘শামসুর রাহমানের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার’।
এবার মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে শুদ্ধস্বর-এর প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলাম না। প্রথম দিকে বইমেলায় আমাদের স্টলও দেওয়া হয়নি। প্রকাশনা হিসেবে যে আনুকূল্য দরকার সেগুলি ওইভাবে পাইনি। আমরা এবার প্রায় ১১৮টা বই করছি। আমরা কোনো রকমের তদবিরের মধ্য দিয়ে সুবিধা নিতে চাই না। আমরা চাই ভাল বইগুলির প্রদর্শন করতে এবং প্রদর্শনের জন্য যথাযোগ্য সুবিধা’।
বাংলাদেশ সময় ০০০০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১