ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটের-কথা

শহর ও গ্রামের উন্নয়নে বৈষম্য দূরীকরণ চান ভোটাররা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
শহর ও গ্রামের উন্নয়নে বৈষম্য দূরীকরণ চান ভোটাররা ফটো: বাংলানিউজ গ্রাফিকস

সিলেট: দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের প্রার্থী নির্বাচন করছে। ফলে মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এবার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে জনগণের মন গলানোর পালা। তাই অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের সঙ্গে বাড়াচ্ছেন যোগসূত্র।

কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটারদের সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন প্রার্থীরা। ইশতেহারের নিরিখেই প্রার্থীকে বিবেচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন ভোটাররা।

ইশতেহার হাতে নিয়ে মেলাবেন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার ফারাক। এই নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে কেমন ইশতেহার চান-এ নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন হচ্ছে বড় কথা। তবে এটাও সত্য ইশতেহারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে বাধ্যবাধকতা থাকে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা  চাই।  

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা বলেন, আমাদের কথায় আর কাজে মিল থাকে না। আমরা ইশতেহার দেই সুন্দরভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকি না। প্রার্থীরা ইশতেহারে যাই দেন, এটার ব্যতিক্রম যেন না হয়। আর সবচেয়ে বড় ইশতেহার মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করা।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা জাতীয় পর্যায়ের ইশতেহারে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, মাঠ পর্যায়ে কৃষি ভর্তুকি চলমান রাখা,  শহর ও গ্রামের উন্নয়নের বৈষম্য দূর করা, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, শিক্ষার চলমান অবস্থার উন্নয়ন এবং গ্রামে শিক্ষার অবকাঠামো তৈরি করা আবশ্যকীয়। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি ইশতেহারে থাকা প্রয়োজন।   

সিলেট মেট্টোপলিটন চেম্বারের পরিচালক তাহমিন আহমদ বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স সহজীকরণ চাই। ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে সবার দেওয়ার ক্ষমতাবৃত্তে আনা দরকার। এ কারণে সিঙ্গেল ডিজিটে এনে পরিধি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনেক কিছু হয়েছে। সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে খুবই নাজুক অবস্থা। বিশেষ করে গত ৫ বছরে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। আগামীতে সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন দেখতে চাই।  

ফ্রিল্যান্স ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান ফাহিম বলেন, সিলেটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া করা যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি পাশাপাশি পরিবেশ দূষণরোধে পদক্ষেপ ইশতেহারে থাকা আবশ্যক।    

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এনইউ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।