ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটের-কথা

‘নির্বাচিত হলে গ্রামেও আনবো ডিজিটাল সুবিধা’

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
‘নির্বাচিত হলে গ্রামেও আনবো ডিজিটাল সুবিধা’ মো. আহসানুল হক মাসুদ

রাজশাহী থেকে: নানা কারণেই রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনটি সব সময় আলোচনায় থাকে। শতভাগ ভোট পড়ার রেকর্ডের কথাও সবার জানা।

বিএনপির ভোট বেশি হলেও এ আসনে গত দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবদুল ওয়াদুদ দারা। তবে বর্তমান এই এমপির একক আধিপত্যে এবার ভাটার টান।

দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও অন্তত চারজন নেতা।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ ও ক্লিন ইমেজের নেতা মো. আহসানুল হক মাসুদ। ৪১ বছর বয়সী এ প্রতিশ্রুতিশীল নেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারে। চাচা ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমিও ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। একাধারে উপজেলা ও জেলায় দায়িত্ব পালন করেছি। এখন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সামাজিক উন্নয়নেও সব সময় আছি’।

মাসুদ বলেন, ‘উন্নয়ন, সেবার নেশা-তাগিদ অনেক আগে থেকেই ছিল। ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান হওয়ায় বাবার সহযোগিতায় ছাত্রকল্যাণ ফান্ড গড়েছিলাম। বর্তমানে রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সহযোগিতা ও যুব ক্লাবগুলোতে কাজ করছি’।
 
এ তরুণ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পূর্বপুরুষদের কাজ করতে দেখেছি। তখন থেকেই আমার নির্বাচন করার আকাঙ্ক্ষাটা প্রবল। কারণ, এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে হলে নির্বাচিত হতে হয়। জনপ্রতিনিধি হলেই মানুষের জন্য বেশি কাজ করা যায়, তাদের মনের ইচ্ছে পূরণ করা যায়’।
 
‘আমার মনে হয়, প্রার্থী হতে রাজনৈতিক পরিচিতি থাকাটা জরুরি। আমাকে আমার দলই সবার কাছে পরিচিত করেছে। রাজনীতি করি বলেই এতো মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা, সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ।
 
নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলেও জানান এই রাজনীতিবিদ। বলেন, ‘মানুষ পরিচিত প্রার্থী চান, পরিচিত মুখ চান। আমাকে সবাই চেনেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা, খোঁজ-খবর নেওয়া। আমি প্রতিদিনই গণসংযোগ করছি- এটিই আমার প্রস্তুতি’।

‘যে প্রার্থীর ইমেজ ভালো, দল তাকে মনোনয়ন দেবে। আগামীদিনে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দিয়েই নির্বাচন করাবেন, যার জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য তার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। যেহেতু জনগণের মাঝে রয়েছি, আশা করি, নেত্রী আমাকেই মনোনয়ন দেবেন।
 
‘মনোনয়ন না দিলে যাকে নৌকা দেবেন, তার জন্য কাজ করবো’- বলেন মো. আহসানুল হক মাসুদ।
 
তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতির মাঠে পরীক্ষিত সৈনিক। কোনোদিন কোনো অন্যায় করিনি, অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। সব সময় মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। এ কারণে মনে করি, দল প্রার্থী করলে মানুষ আমাকে ভোট দেবেন’।

‘নির্বাচিত হলে তরুণদের অগ্রাধিকার নিয়ে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো। কারণ, তরুণরা সব কাজ সহজে করতে পারেন। যুবকদের নিয়ে ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে কাজ করারও ইচ্ছে রয়েছে। যুব সমাজের ধ্বংস হয়ে যাওয়া রোধ, জঙ্গিবাদে জড়ানো, নেশা করা- এসব থেকে রক্ষায় কাজ করবো। আর এর কারণ, বেকারত্ব’।

মাসুদ আরও বলেন, ‘ডিজিটাল হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বে এতো এগিয়েছে বাংলাদেশ। সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মোবাইলের মধ্যেই সব পাচ্ছি। ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসার তথ্য জানতে পারছি। আগে যে সংবাদ যোগাড় করতে দু’দিন লাগতো, এখন সেটি দু’মিনিটেই হচ্ছে’।

‘নির্বাচিত হলে গ্রামে বসেই ওইসব সুবিধা উপভোগের বিষয়েও কাজ করবো’।
 
মাসুদ বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, এই ভালো থাকাটাই মুক্তিযুদ্ধ। দেশ স্বাধীন না হলে বাঙালি, বাংলাদেশিরা এ অবস্থায় যেতে পারতেন না’।
 
‘বিএনপি যারা করেন, তাদের রাজনীতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে মনে করি। তারা জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করেন। বিএনপি গড়েই উঠেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন অংশ নিয়ে। এটি কোনো দলই নয়। মানুষের মতের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু মতের পার্থক্য যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হয়, তাহলে আমার দ্বিমত রয়েছে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এএ/এএসআর

** এমপি হলে পুরো বেতন অসচ্ছল নেতাকর্মীদের দেব
** ভরসন্ধ্যায় নির্বাচনী উত্তাপ রাজশাহী মহানগর আ'লীগ অফিসে

** এই আমাদের বিমানবন্দর রেলস্টেশন!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।