ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

বাঁশের বিস্কুট ও চালের পর এবার শিল্পীরা বানালেন প্রদীপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
বাঁশের বিস্কুট ও চালের পর এবার শিল্পীরা বানালেন প্রদীপ বাঁশের প্রদীপ হাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): বাঁশের পানির বোতল, বাঁশ কোড়ালের বিস্কুটের পর এবার বাঁশ দিয়ে প্রদীপ তৈরি করলেন ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্পীরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজধানী আগরতলা নিউক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত মহাকরণে তার অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিবেশবান্ধব প্রদীপ সবার সামনে তুলে ধরেন।



সিপাহীজলা জেলার তৈবান্দাল এলাকার নারীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বাঁশের প্রদীপ তৈরি করেছে। পরিবেশবান্ধব এই প্রদীপ মাটির প্রদীপের মত পুনর্ব্যবহার যোগ্য।  

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাঁশের প্রদীপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বক্তব্য বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিবেশবান্ধব এবং নিজ দেশে তৈরি সামগ্রী ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পরিবেশবান্ধব সামগ্রীর মধ্যে তিনি বাঁশ দিয়ে কি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের সামগ্রী তৈরি করা যায় এই বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ বাঁশকে আরও কীভাবে ব্যবহার করে কর্মসংস্থান তৈরি, অর্থনৈতিক উপার্জন নিশ্চিত করা যায়। এই কাজ প্রধানমন্ত্রী নিজে মনিটরিং করছেন।

বাঁশ দিয়ে সামগ্রী তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই কথাই গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের সাড়া দিয়ে নারীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী নিজেদের উদ্যোগে এই অভিনব ভাবনা থেকে বাঁশের প্রদীপ তৈরি করেছেন।  

তিনি আরো বলেন, আগেও স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। কিন্তু তাদের স্বনির্ভর করার মানসিকতা গড়ে তোলার সরকারি দিশা ছিল না।  বর্তমান রাজ্য সরকার সেই দিশাতে কাজ করছে।

স্ব-সহায়ক দলের সদস্য দিপালী পাল যারা বাঁশের প্রদীপ তৈরি করেছেন বাংলানিউজের কাছে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে এই নতুন ধরনের প্রদীপ সবার সামনে তুলে ধরেছে এজন্য তারা দারুণ খুশি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঁশে প্রদীপ তৈরি করেছে। আগামীদিনেও তারা নতুন নতুন বাঁশে পণ্য উদ্ভাবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।