ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় ৯ সড়ক উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
ত্রিপুরায় ৯ সড়ক উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে নয়টি জাতীয় সড়কের উদ্বোধন করেছেন ভারত সরকারের ভূতল পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।  

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের রাজধানী দিল্লিস্থ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

 

অপরদিকে আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দিল্লি থেকে সুইচ টিপে আগরতলায় এলসিডি স্ক্রিনে ফলক উন্মোচন করেন নীতিন গড়কড়ি।  

ফলক উন্মোচনের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প চালু হলে ত্রিপুরা রাজ্যসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত লাভবান হবে। বিকল্প জাতীয় সড়ক চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে পণ্যসামগ্রী ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যে খুব দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ত্রিপুরা সরকারকে পরামর্শ দেন জৈব জ্বালানি ডিজেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে মিথানলের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। এর ফলে জ্বালানি খরচ ও পরিবেশ দূষণ অনেক কমে আসবে। ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ সস্তায় যাতায়াত করতে পারবেন।  

নীতিন গড়কড়ি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ উৎপাদিত হয়। ত্রিপুরায় উৎপাদিত বাঁশ ট্রেনের মাধ্যমে দেশের অন্য প্রান্তে বিক্রি করতে পারলে ত্রিপুরা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নতি হবে। ত্রিপুরা সরকার যেন ৩০ বছর মেয়াদি অ্যাক্টিভ ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করে উন্নয়নের বিষয়গুলো মাথায় রেখে। ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে সবধরনের সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে নিজের মত ব্যক্ত করতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, নীতিন গড়কড়ি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় এ বিশাল প্রকল্প ত্রিপুরা রাজ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের করিডর হয়ে উঠবে। সেইসঙ্গে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তখন ত্রিপুরা রাজ্যের বেকার তরুণ-তরুণীদের কাজের জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হবে না।

এ নয়টি জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬২ কিলোমিটার। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে দুই হাজার ৭৫২ কোটি রুপি। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।