ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

লকডাউন উঠে গেলেও কাজের অভাব, ভোগান্তিতে দিনমজুররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
লকডাউন উঠে গেলেও কাজের অভাব, ভোগান্তিতে দিনমজুররা আগরতলার বটতলা, পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড এলাকা, মিলনচক্র বাজার এলাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে দিনমজুররা এসে ভিড় জমান/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): করোনা মহামারির কারণে একাধিকবার লকডাউন আরোপ করা হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় আবার তুলেও দেওয়া হয়েছে লকডাউন।

এভাবেই রাজ্য স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকেই জানাচ্ছেন, এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি মোটেও। বিশেষ করে যারা দিন মজুরের কাজ করেন তারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বটতলা, পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড এলাকা, মিলনচক্র বাজার এলাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে দিনমজুররা এসে ভিড় জমান। এই জায়গাগুলোতে গৃহস্থরা এসে চাহিদা মতো শ্রমিক নিয়ে যান। আবার পাকা দালানের কাজের ঠিকাদাররাও এসব জায়গা থেকে তাদের চাহিদা মতো রাজমিস্ত্রি ও সহকারী নিয়ে যান।  

শুক্রবার (০৭ আগস্ট) আগরতলার বটতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক বসে অপেক্ষা করছেন।  

মিলন সরকার নামে এক শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, তিনি রাজধানীর পাশের লঙ্কামুড়া এলাকা থেকে এসেছেন কাজের জন্য। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করছেন। কিন্তু এ বছরের মতো খারাপ সময় আর দেখেননি। এ বছর মার্চ মাসের লকডাউনের পর থেকেই কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দিনের পর দিন কাজ পাচ্ছেন না।

কাজের আশায় শহরতলী কালিকাপুর থেকে এসেছেন প্রমিলা রাণী সরকার। তিনি জানান, শহরে নির্মাণাধীন দালানের রাজমিস্ত্রির সহকারী, মাটি, ইট-বালি টানার কাজ, আবার বাড়ি ঘর পরিষ্কার করাসহ যখন যে কাজ পান তাই করেন। আগে যেখানে মাসের ৩০ দিনই কাজ পাওয়া যেত কিন্তু এখন ১০ দিন কাজ পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা শুধু তার একার নয়, বটতলা এলাকায় উপস্থিত প্রায় সব শ্রমিকদের। আগে যেখানে দৈনিক হাজিরা ৪০০ রুপি বললে দামদর করতে হতো না। আর এখন কাজ পাওয়াই কঠিন হয়ে পেড়েছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্যের আইন ও শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রতন লাল নাথ বলেন, ত্রিপুরা সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সমস্যা শুধু ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্যা নয় গোটা বিশ্বের সমস্যা। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে খানিকটা মানিয়ে নিতে হবে। তবে সরকার হাত পা গুটিয়ে বসে নেই। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কীভাবে মানুষের কাজের ব্যবস্থা করা যায় এজন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।