ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

'মেইক ইন ত্রিপুরা প্রকল্পে বাঁশকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
'মেইক ইন ত্রিপুরা প্রকল্পে বাঁশকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে' বাঁশ দিয়ে তৈরি পানির বোতল

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশ শিল্পীদের তৈরি পানির বোতলের চাহিদা এখন ত্রিপুরার গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। বাঁশ দিয়ে তৈরি পানি রাখার এসব বোতলের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এক হাজার বোতলের অর্ডার এসেছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আগরতলা টাউনহলে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানান।

তিনি আরো জানান, এই বোতলগুলোর ভেতরে কাঁচের পরত ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

তাই এগুলিতে রাখা পানি ১০০ শতাংশ নিরাপদ থাকে। এক একটি বাঁশের তৈরি বোতল ন্যূনতম ১ হাজার রুপি করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বোতল তৈরির মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকমুক্ত ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন সকলের প্রতি। শুধু একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নয়, ত্রিপুরা সরকার চাইছে প্লাস্টিকের ব্যবহারও যেন ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা যায়। এজন্য গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের জারের পরিবর্তে যাতে বাঁশের তৈরি জার মানুষ ব্যবহার করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাঁশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, বিশেষ করে রান্নাঘরে মশলাপাতি রাখার জন্য এখন প্লাস্টিকের কৌটা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্লাস্টিকের কৌটার পরিবর্তে যাতে মানুষ বাঁশের কৌটা ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে শিল্পীরা যেন কৌটা তৈরি করেন।  

ভারত সরকার যেমন 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পের ডাক দিয়েছে তেমনি ত্রিপুরা সরকার 'মেক ইন ত্রিপুরা 'প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাঁশের পণ্যকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৩০ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। যদি বাঁশের ব্যবহার বাড়ানো যায়, একদিকে যেমন প্লাস্টিকের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যাবে পাশাপাশি বাঁশকে ভিত্তি করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসসিএন/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।