ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

পৌষ সংক্রান্তি ঘিরে বাজারে ভিড়, দাম আকাশছোঁয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
পৌষ সংক্রান্তি ঘিরে বাজারে ভিড়, দাম আকাশছোঁয়া পৌষ সংক্রান্তি ঘিরে বাজারে ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): পৌষের শেষে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে খাবারের উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। ভোজনরসিক বাঙালির খাওয়া-দাওয়ার সবচেয়ে বড় উৎসব এটি। তাই এখন বাজারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মকর সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তি হিসেবেও পরিচিত এটি।

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হচ্ছে মহারাজগঞ্জ বাজার। এ বাজারে পাইকারি দোকান যেমন তেল, গুড়, ময়দাসহ পিঠাপুলি তৈরির সামগ্রীর দোকানগুলোতে ভিড় রয়েছে। পাশাপাশি মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কিছু অস্থায়ী দোকানও বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল তিলুয়া, বাতাসা, নারিকেল, গুড় ইত্যাদি।

শংকর ঘোষ নামে অস্থায়ী দোকানদার বাংলানিউজকে বলেন, তিলুয়া, কদমা (বড় আকারের তিলুয়া), বাতাসা, গুড়, নলেন গুড়, চালের গুড়ি, ভোজ্যতেল, চিড়াসহ পিঠাপুলি তৈরির সামগ্রী। তিলুয়া বাতাসা প্রতিকেজি ৯০ রুপি, কদমা ১০০ রুপি করে বিক্রি হচ্ছে। নলেন গুড় বিভিন্ন ধরনের রয়েছে, ১০০ রুপি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫০ রুপি প্রতিকেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।  

গত বছরের তুলনায় এবছর এ সব সামগ্রীর দাম কিছুটা বেশি বেড়েছে। তবে বিক্রি অনেক কম বলে দাবি করেন তিনি।  

বিক্রি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোটা বাজারজুড়ে মন্দা চলছে। মানুষের হাতে অর্থকড়ি কম, তাই বিক্রিও কম।

বীনা কর্মকার নামে এক নারী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর সংক্রান্তির পিঠাপুলি তৈরির সামগ্রীর দাম বেশি। কিন্তু বেশি হলে আর কী করা যাবে? সংক্রান্তি তো বছরে একবারই আসে, তাই চড়া দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে।

পাশেই দেখা গেল নারিকেলের অনেক দোকান। নারিকেল ব্যবসায়ী নির্মল দাস জানান, সারা বছর ধরে তিনি শুধু নারকেল বিক্রি করেন। সংক্রান্তির কথা মাথায় রেখে প্রচুর নারকেল তুলেছেন দোকানে, কিন্তু তুলনামূলক বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।

নারিকেলের বাজার।  নারিকেলের আকার অনুসারে দাম রয়েছে। একেকটি নারিকেল ২০ রুপি থেকে শুরু করে ৭০ রুপি পর্যন্ত রয়েছে। বিক্রি কম হচ্ছে বলে অন্য দোকানদারদের গলাতেও হতাশার সুর।

মকর সংক্রান্তি কেন্দ্র করে আগরতলাসহ রাজ্যের অন্য মাছের বাজারগুলোতেও রকমারি মাছের ভিড়। সব মিলিয়ে এ আকাশছোঁয়া মূল্যের বাজারে মানুষ সাধ্য মতো জিনিসপত্র কিনছেন। সবাই চান, উৎসবের দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে উঠতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এসসিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।