ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

নীরমহলের মালিকানা পেতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে রাজপরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
নীরমহলের মালিকানা পেতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে রাজপরিবার

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার রুদ্রসাগর হ্রদের মধ্যে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্র নীরমহল প্রাসাদের মালিকানা পেতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন।

নীরমহলকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ত্রিপুরার রাজ্য সরকারের কাছে নীরমহলের মালিকানার বৈধ কোনো নথি নেই।

তার বাবা প্রয়াত মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর দেব বর্মন প্রাসাদটি ত্রিপুরা সরকারের কাছে বিক্রি বা দান করে যাননি। এটি এখনো রাজপরিবারের সম্পত্তি।

এ সম্পত্তি নিজেদের অধীনে আনার জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান ত্রিপুরার জনজাতির মহারাজা হিসেবে পরিচিত প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকারের তরফে রাজ পরিবারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল তাদের এ সম্পত্তি যেন ত্রিপুরা সরকারকে দান করা হয়। যদি তা ত্রিপুরা সরকারেরই সম্পত্তি হতো, তবে সরকারের পক্ষ থেকে রাজপরিবারের কাছে দানপত্র করে দেওয়ার আবেদন করা হতো না।

প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বলেন, হয়তো ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের কাছে এ বিষয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। তাই হাইকোর্ট নীরমহলকে ত্রিপুরা সরকারের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করেছেন।  

তবে রাজ পরিবারের সম্পত্তি রক্ষার জন্য তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানান ত্রিপুরার রাজপরিবারের এ সদস্য।

সোমবার(৬ জানুয়ারি) ত্রিপুরা হাইকোর্টে নীরমহলের মালিকানা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ত্রিপুরা সরকারের পক্ষে নীরমহল এবং রুদ্র সাগরের মালিকানার আদেশ দেন।

৯০’র দশকে মহারাজা কৃতি বিক্রম কিশোর বেঁচে থাকতে নীরমহল ও রুদ্রসাগরের মালিকানার দাবিতে মামলা করেছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০২০।
এসসিএন/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।