ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

এবার ত্রিপুরায় পেঁয়াজের সেঞ্চুরি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
এবার ত্রিপুরায় পেঁয়াজের সেঞ্চুরি!

আগরতলা (ত্রিপুরা): এবার ত্রিপুরা রাজ্যের খুচরা বাজারে সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানী আগরতলার লেচুমনি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ খুচরা মূল্যে ১০০ রুপি প্রতিকেজি দরে বিক্রি করছেন। এর আগে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৯০ রুপি বিক্রি হয়েছিল।

বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ বণিক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২ ডিসেম্বর) পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতারা দাম আরেক দফায় বৃদ্ধি করায় তারা ১০০ রুপি প্রতিকেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হলেও চাহিদা মতো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে কখনো পেঁয়াজের দাম এতো বেশি হয়েছিল কি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ বছর ধরে তিনি এ বাজারে ব্যবসা করছেন। কিন্তু কখনো এমন অবস্থা দেখেননি। কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম কমবে এ বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন।

সঞ্জীব সাহা নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ব্যবসা কম হচ্ছে। আগে যেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ কুন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি করতেন এখন সেখানে তাদের এক কুইন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যখন পেঁয়াজের মূল্য কম ছিল তখন ক্রেতারা একসঙ্গে তিন থেকে চার কেজি কিনতেন। কিন্তু এখন ২৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনছেন। এর কারণে বিক্রি যেমন কমেছে, তেমনি মুনাফার পরিমাণও কমেছে।  

হঠাৎ করে কেন পেঁয়াজের দাম তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সঠিক কারণ তারা বলতে পারছেন না। তবে যতোটুকু শুনেছেন, এ বছর বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজের দাম এতো বেড়েছে।

বিনয় দেববর্মা নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এলে চিন্তায় পড়ে যেতে হয়। কারণ যে হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাজারের বাজেট হেরফের হচ্ছে। আগে যেখানে দুই থেকে তিন কেজি পেঁয়াজ একসঙ্গে কিনে নিতেন, এখন এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার যেন বিষয়টিতে নজর দেয় এ আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, বাজারে আসতে শুরু করেছে স্থানীয় ক্ষেতে উৎপাদিত পেঁয়াজকলি। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ বছর পেঁয়াজকলির দামও অনেকটা বেশি। অন্য বছর যেখানে শুরুতে পেঁয়াজকলির দাম ১০০ রুপির বেশি হতো না সেখানে এ বছর পেঁয়াজকলির দাম দেড়শ’ রুপি। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজকলির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।