ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরা অচলের হুমকি টিইউআইপিসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
ত্রিপুরা অচলের হুমকি টিইউআইপিসির সংবাদ সম্মেলনে টিইউআইপিসি নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): সন্ত্রাসের জীবন ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরে আসার ২৬ বছর হয়ে গেলেও চুক্তির ৮০ শতাংশও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠির আত্মসমর্পণকারী সদস্যদের সংগঠন ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পিপলস কাউন্সিলের (টিইউআইপিসি) নেতারা। 

শনিবার(১৭ আগষ্ট) সন্ধ্যায় আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা অভিযোগ জানান সংগঠনের সভাপতি অনন্ত দেববর্মা।

তিনি বলেন, আত্মসমর্পণের সময় হওয়া চুক্তি এখনো পূরণ হয়নি।

আমাদের নিরাপত্তার জন্য যে পুলিশ দেওয়া ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। চুক্তির পূরণ না হওয়া বিষয়গুলো আদায়ের জন্য ইতোমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পাঁচবার আবেদন করার পরও তিনি দেখা করেননি বলে অভিযোগ করেন সভাপতি।

অনন্ত দেববর্মা বলেন, দাবি আদায়ের জন্য সংগঠের সব নেতা ও সদস্য মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে আগরতলায় এক দিনের জন্য গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও কিছু না হলে রেলপথ, সড়কপথ অবরোধ করে রাজ্য অচল করে দেওয়া হবে। তবে, সব কিছু নির্ভর করছে সরকারের ওপর। সরকার যদি চুক্তি পূরণ করে, তাহলে আর এসবের প্রয়োজন হবে না।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ড্যানিয়েল দেববর্মা বলেন, চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর দফতর খুমলুংয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হবে, বাঁশ ভিত্তিক শিল্প হবে, ব্যবসার জন্য শপিং কমপ্লেক্স হবে। এর বেশির ভাগই করা হয়নি। যা কিছু হয়েছে সব নিজেদের জন্য। আমাদের কোনো সদস্য কিছু পায়নি। অন্যরা এসবের সুবিধা নিচ্ছে। তাই সরকারের উচিত চুক্তি ঠিকভাবে পূরণ করা।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি থুমনাই বরক, সাধারণ সম্পাদক থমাস ত্রিপুরা, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিনয় দেববর্মাসহ অন্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এসসিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।