ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় কৃমিনাশক দিবসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৯
ত্রিপুরায় কৃমিনাশক দিবসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মিশন ডিরেক্টর ডা. শৈলেশ কুমার যাদব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগামী বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ত্রিপুরায় পালিত হবে জাতীয় কৃমিনাশক দিবস। এর আগের দিন ৭ আগস্ট রাজ্যের গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমার কিল্লা এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাইয়ে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

সোমবার (৫ আগস্ট) আগরতলার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (এনএইচএম) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য মিশন ডিরেক্টর ডা. শৈলেশ কুমার যাদব।  

তিনি জানান, এ বছর ত্রিপুরায় নবম রাউন্ডে এ দিবস পালিত হবে।

রাজ্যের প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কলেজে এক থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে ভারত সরকারের জরিপে দেখা যায় ত্রিপুরার ৬০ শতাংশের বেশি ছেলে-মেয়ের পেটে কৃমি রয়েছে। তাই ত্রিপুরায় এ বছর দ্বিতীয় দফায় কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। যেসব রাজ্যের ৫০ শতাংশ ছেলে-মেয়ের পেটে কৃমি পাওয়া গিয়েছে সেই সব রাজ্য বছরে এক বার কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়।

 সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরায় মোট আট রাউন্ড কৃমিনাশক কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট সাত লাখ ৬৭ হাজার, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নয় লাখ ৪৭ হাজার, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নয় লাখ ৭৮ হাজার, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ লাখ ৪৯ হাজার, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ১০ লাখ ৬৮ হাজার, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ১১ লাখ ৯৯ হাজার, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ১০ লাখ ৫৯ হাজার এবং ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। আগামী ৮ আগস্ট ত্রিপুরা জুড়ে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ১৮ জনকে। এর জন্য চার হাজার ৫৫২টি সরকারি এবং সরকার অধিগৃহীত স্কুল, ৪৮০টি বেসরকারি স্কুল, নয় হাজার ৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র, ৬৬টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও স্কুলের ছেলে-মেয়েসহ ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদেরও এ ওষুধ খাওয়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।