ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় উৎপাদিত চা পাতার মান উন্নয়নে বৈঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
ত্রিপুরায় উৎপাদিত চা পাতার মান উন্নয়নে বৈঠক

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের চা উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে এক আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজ্যের পশ্চিম জেলার ব্রহ্মকুণ্ড এলাকার পর্যটন অতিথিশালার সভাঘরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

টি বোর্ড আগরতলার আঞ্চলিক অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা রাজ্যের আট জেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় চা বাগানের মালিক ও রাজ্যের চা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।

অলোচনায় চা পাতা চাষি ও উৎপাদকরা রাজ্যের চা শিল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা তুলে ধরেন।  

উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো হলো- সময় মতো বাগান থেকে চা পাতা তোলার পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না, সরকার থেকে চা বাগানের জন্য আলাদা করে সার ও বালাই নাশক বরাদ্ধ করা হচ্ছে না, একইভাবে চা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অন্যতম উপকরণ খনিজ কয়লা নিয়ে রাজ্যে মাঝে-মধ্যে সমস্যা হয়। এছাড়া সাবেক সরকারের আমলে শ্রমিকদের কাছ থেকে সঠিক শ্রম পাওয়া যেতো না, যার ফলে উৎপাদন কম হয়।  

চা বাগান থেকে চা পাতা তুলছেন শ্রমিক।

অন্যদিকে সাবেক সরকারের আমলে নীতিমালা না মেনে নতুন কিছু চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বৈঠকে পরবর্তীতে নতুন চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের সময় নীতিমালা মানার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সমস্যগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।  

এদিকে আলোচনায় উপস্থিত ব্যবসায়ীদের জানানো হয়, তাদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়। সেগুলো হলো- দেশে প্রতি বছর নূন্যতম ১০০ দিনের জন্য জাতীয় গ্রামীণ রোজগার যোজনা চালু করা হয়েছে, ফলে এরপর থেকে চা পাতা তোলার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, শুখা মৌসুমে বাগানগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। তাই চা বাগানের মাঝে নিচু জায়গায় পুকুর তৈরি করা।

বৈঠক শেষে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বড় শিল্প হলো চা শিল্প। বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিলো- কি করে রাজ্যের উৎপাদিত চায়ের গুণগতমানের উন্নয়ন করা যায়। এর জন্যই এখন কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সুফলও পাওয়া শুরু হয়েছে।  

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য চা পাতা উৎপাদনে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে রাজ্যে উৎপাদিত চা পাতার গুণগত মান উন্নয়ন করা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।