ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

মুক্তিযুদ্ধের গণকবর পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
মুক্তিযুদ্ধের গণকবর পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা মুক্তিযুদ্ধের গণকবর পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলার দক্ষিণ রামনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ঘুরে দেখলেন আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের পার্শ্ববর্তী অংশে ভারতীয় ভূ-খণ্ডে রয়েছে ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এলাকাটি পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সহকারী হাইকমিশনার মো. সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া।  

গণকবর পরিদর্শনের সময় স্থানীয় জনগণের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী এবং ওই সময়ে যারা কবর দেওয়ার কাজে সহায়তা করেছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

স্থানীয় অধিবাসীদের তথ্যমতে, এখানে দেড়শ’র বেশি মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়ে আগরতলা জি বি হাসপাতাল ও আই জি এম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের এখানে গণকবর দেওয়া হয়েছিল।  

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রতিটি গণকবরে পাঁচজনেরও বেশি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শুয়ে আছেন। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচকানি (স্থানীয়ভাবে জমির হিসাব) এলাকাজুড়ে রয়েছে এ গণকবর।  

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণকবর দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় দক্ষিণ রামনগরের বাসিন্ধা শহীদ ভূঁইয়া।  

বাংলানিউজকে তিনি জানান, তখন তার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। অন্যদের সঙ্গে তিনিও মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেওয়ার কাজ করেছেন।  

অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, জায়গাটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাশে হওয়ায় কবর দেওয়ার সময় অনবরত গুলির শব্দ শোনা যেত। এমনকি কবর দেওয়ার সময় আগরতলা লক্ষ্য করে পাকহানাদার বাহিনীর ছোড়া গুলি ছুটে যেতেও দেখেছি আমি।  

২১ শহীদের কবর দেওয়ার কাজে তিনি অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান মুক্তিযুদ্ধের সময় কৈশোর পাড় করা শহীদ।

পরিদর্শনের সময় সহকারী হাইকমিশনার সাখাওয়াত হোসেন জানান, জায়গাটি পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য নোট করে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হবে, যাতে ভবিষ্যতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শহীদদের স্মৃতিস্থানের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এসসিএন/এপি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।