ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

আগরতলায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
আগরতলায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্বোধন ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: আগরতলায় নেতাজী সুভাষ রিজিওন্যাল কোচিং সেন্টার (এনএসআরসিসি) ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নেতাজী রোডে পূর্বভারতের দ্বিতীয় ও উত্তরপূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক মানের এ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্য ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী সহিদ চৌধুরী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা, ভারতের প্রথম অলিম্পয়ার্ড জিমনাস্ট ড. দীপা কর্মকার ও তার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী, রাজ্য ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের অধিকর্তা সমরজিৎ ভৌমিক প্রমুখ।

ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীরা।  ছবি: বাংলানিউজঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘এনএসআরসিসিতেই থেমে থাকলে চলবে না। রাজ্যের ক্রীড়ার উন্নয়নে আরো কিছু নতুন নতুন কাজ সরকার হাতে নিয়েছে।   এরমধ্যে একটি হলো আসাম রাইফেলস ময়দানে একটি আন্তর্জাতিক মানের একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও বাধারঘাটের দশরথদেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে অন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করা।

আগরতলার বাইরে জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে আধুনিক মানের খেলার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু পরিকাঠামো উন্নয়নই নয়, প্রতিভাবান খেলোড়ার তৈরি করা। পাশাপাশি তিনি এই সম্পতিগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক মানের এ ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে মোট ৪৫ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। এর আয়তন ৪০ হাজার স্কয়ার মিটার আয়তন। এতে ২ হাজার ১শ’টি দর্শক আসন রয়েছে। নিচের তলায় মোট ৫৬টি রুম রয়েছে। প্রবেশের তিনটি প্রধান গেট ও সহকারী প্রবেশ দ্বার রয়েছে ৯টি। গোটা স্টেডিয়ামটি সেন্ট্রাল এসি যুক্ত।

মূল স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ রূপে হয়ে গেলেও এর আরো কিছু কাজ চলছে। এখানে ওয়েট লাফটিং, পাওয়ার লিফটিংসহ যোগা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। ব্যাডমিন্ট ও সাঁতার প্রশিক্ষণের জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা রাজ্য ও বর্হিঃরাজ্যের মেয়েদের জন্য তিনশ' শয্যার ছাত্রী নিবাস তৈরি করা হয়েছে।

আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের ধলাই জেলার আমবাসায় এমন একটি যুব আবাস তৈরি করা হচ্ছে। গোমতী জেলার উদয়পুর ও আমবাসায় জেলা স্পোর্টস স্কুল তৈরি হচ্ছে। সবকটি কাজই আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে বলে জানান সমরজিৎ ভৌমিক।

রাজ্যে ২ হাজার ফুটবলার তৈরির জন্য ইল্যান্ড থেকে কোচ আনা হচ্ছে। এ কোচ টানা তিন বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে ছোট ছেলে-মেয়েরা জিমনাস্ট প্রদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।