ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি ত্রিপুরার কিছু জঙ্গি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি ত্রিপুরার কিছু জঙ্গি সংবাদ সম্মেলনে রঞ্জি‍ৎ দেববর্মা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: এখনো ত্রিপুরা রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স'(এটিটিএফ) ও 'ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা'র ( এনএলএফটি) সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি। তারা এখনো বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে রয়েছে। এ দাবি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এটিটিএফ সুপ্রিমো রঞ্জিৎ দেববর্মা'র।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রঞ্জি‍ৎ দেববর্মা এই দাবি করেন। তিনি আরো জানান, দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য এখন এক সঙ্গে জঙ্গলে শিবিরে অবস্থান করছে।

ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এটিটিএফ জঙ্গিদের যে সব সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার কথা ছিলো সেগুলোর বেশীর ভাগই এখনো পূরণ হয়নি বলে দাবি করেন রঞ্জিৎ দেববর্মা।

মূলত চারটি দাবিকে সামনে রেখে এদিন সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এই দাবিগুলো হলো-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সকল এটিটিএফ জঙ্গির উপর থেকে পুলিশ কেস প্রত্যাহার, তাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন, ১৯৯৩ সালে এটিটিএফ এবং ত্রিপুরা সরকারের মধ্যে যে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়ছিলো তা কার্যকর করা, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের যে চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়েছিলো তা কতটুকু কার্যকর হয়েছে সে বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।

এসব দাবি সামনে রেখে, ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম জেলার অন্তর্গত সিধাই মোহনপুরের এসরাই বাজারে আগামী ২১ অক্টোবর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এটিটিএফ সদস্যদের এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা রাজ্য থেকে আড়াই হাজারের বেশী এটিটিএফ সদস্য অংশ নেবে। ওই দিন দাবি আদায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যদি সরকার তাদের দাবি না মানে তবে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। আত্মসমর্পণকারী বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে একটি নতুন ফ্রন্ট গঠন করা হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে তারা আগরতলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করবেন ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ত্রিপুরার রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপি দেবেন।  

সরকারি হিসেবে, এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারেরও বেশী এটিটিএফ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের উপর সাড়ে সাতশ’রও বেশী মামলা রয়েছে। ৭ থেকে ১৪ বছরের পুরনো হলেও এসব মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি।

তিনি আরো জানান, তার নিজের স্ত্রী ও মেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলেও সরকারি সহযোগিতার অভাবে পারছেন না। তারা এখন কোথায় আছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু বলেন, তারা বিদেশে রয়েছেন।

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।